যেকোনো রামকৃষ্ণ ও মা সারদার ভক্ত বা অনুরাগীর কাছে দক্ষিনেশ্বর, বেলুড় বা কাশিপুর উদ্যান বাটির পাশাপাশি আরো দুটি স্থান বিশেষ ভাবে শ্রদ্ধার ও গুরুত্বপূর্ণ|প্রথমটি কামারপুকুর ও দ্বিতীয়টি জয়রামবাটি|
১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর বাঁকুড়ার জয়রামবাটিতে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নেন সারদা। সে কালের রীতি অনুযায়ী অতি অল্প বয়সেই পার্শ্ববর্তী হুগলি জেলার কামারপুকুরের রামকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের দীর্ঘদিন পর ১৯১৫ সাল পর্যন্ত সারদা জয়রামবাটির খড়ের চালা মাটির বাড়িতেই ছিলেন।
সেদিক দিয়ে ঠাকুর রামকৃষ্ণকে যারা অবতার রূপে দেখেন এবং মা সারদাকে তার লীলা সঙ্গিনী তাদের কাছে এই স্থান দুটি লীলা ক্ষেত্র|
জয়রামবাটি আজ বাংলার ধর্মীয় তীর্থ ক্ষেত্র গুলির অন্যতম|
কথিত আছে, মা সারদা জগদ্ধাত্রীকে তাঁর দুই সখী জয়া ও বিজয়া-সহ প্রত্যক্ষ করেছিলেন।১৯২৩ সালে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী সারদানন্দজীর উদ্যোগে জয়রামবাটিতে প্রতিষ্ঠা হয় মাতৃমন্দির ওই বছর থেকে প্রতিমা তৈরি করে জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে দুর্গা পূজা শুরু হয়।
প্রায় সারা বছরই এই তীর্থ ক্ষেত্রে মানুষের ভিড় লেগে থাকে|হাজার হাজার দর্শক ভিড় করেন অষ্টমীর কুমারী পুজো দেখতে|প্রথা মেনে আজও কুমারী হিসাবে পূজা করা হয় মা সারদার বাপেরবাড়ির বংশের কোনও কুমারীকে|এবছর নিজে মা মুক্তেশ্বরী মায়ের মন্দিরের বিশেষ পুজো হোম যজ্ঞ ও গ্রহ দোষ খণ্ডন অনুষ্ঠানে ব্যাস্ত থাকবো তবে আপনারা চাইলে ঘুরে আসতেই পারেন জয়রামবাটি থেকে|
পড়তে থাকুন আর জ্যোতিষ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|