বাংলার তীর্থ – কামারপুকুর

381

জয়রামবাটি যেমন মা সারদার জন্মভূমি তেমন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ জন্মভূমি হিসেবে প্রত্যেক রামকৃষ্ণ ভক্তের কাছে অন্যতম প্ৰিয় ও পবিত্র স্থান কামারপুকুর|

কলকাতা থেকে ১০৪ কিমি আর বাঁকুড়া থেকে ৮৫ কিমি দূরে কামারপুকুরের অবস্থান।কামারপুকুর চটি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাসের পটভূমি গড় মান্দারন|দুটিই দর্শনীয় স্থান|

১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি কামারপুকুরে রামকৃষ্ণদেবের জন্ম হয়।ঠাকুরের শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত বহু স্থান ও বহু ঘটনার সাক্ষী কামারপুকুরের পুন্য ভূমি|

১৯৫১ সালে জন্মভিটাতে রামকৃষ্ণদেবের মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাদা মার্বেল পাথরে ঠাকুরের অনুপম মূর্তি। শ্রীরামকৃষ্ণ মঠের প্রবেশদ্বারের কাছে যোগী শিব মন্দির। মঠের বিপরীতে হালদার পুকুর। ডান দিকে লাহাবাবুদের বাড়ি ও পাঠশালা, গোপেশ্বর শিব মন্দির, ভিক্ষামাতা ধনী কামারনীর বাড়ি ইত্যাদি দর্শনীয়।

রামকৃষ্ণদেবের নামের সঙ্গে জড়িয়ে সাদা বোঁদের মিশনের সন্ন্যাসীরা বলেন  রামকৃষ্ণদেব যে সাদা বোঁদে খেতে ভালবাসতেন এ রকম কোনও নথি আমাদের নেই। বরং তিনি মুড়ি আর জিলিপি খেতেন খুব। তবে কামারপুকুরে সাদা বোঁদে যে বিশেষ তা মানতেই হয়। কামারপুকুর ছাড়া সাদা বোঁদে সাধারণত আর কোথাও দেখা যায়না|কামারপুকুর বেড়াতে গেলে সাদা বোঁদে খেতে ভুলবেননা|

আবার অন্য কোনো তীর্থক্ষেত্র নিয়ে ফিরে আসবো আগামী পর্বে|ভালো থাকুন|প্রয়োজনে উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ করুন|নমস্কার|