বাংলার তীর্থ – মতুয়াদের ঠাকুর বাড়ি

390

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

আসন্ন দূর্গা পুজো, নবরাত্রি ও তারপর দীপাবলি কেন্দ্র করে জ্যোতিষ সংক্রান্ত ব্যস্ততা কিঞ্চিৎ বৃদ্ধি পেয়েছে কারন প্রতিটি বিশেষ তিথির ন্যায় এই গুরুত্বপূর্ণ তিথি তেও আপনাদের মুক্তেশ্বরী মায়ের মন্দিরে শাস্ত্র মতে গ্রহ দোষ খণ্ডনের সু ব্যবস্থা থাকবে|প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন|আজ বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ও বৃহৎ ধর্মীয় সম্প্রদায় মতুয়াদের প্রধান তীর্থ ক্ষেত্র ঠাকুর বাড়ি নিয়ে লিখবো এই পর্বে|

প্রথমে মতুয়া ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও ঠাকুর বাড়ির আরাধ্য  হরিচাঁদ ঠাকুর সম্পর্কে জানা প্রয়োজন|মূলত প্রেম-ভক্তির কথা সহজ-সরলভাবে প্রচার করতেন তিনি|অবিভক্ত বাংলার গোপালগঞ্জ জেলার সফলাডাঙ্গা গ্রামে  1812 ক্রিস্টাব্দর 11 মার্চ যশোমন্ত ও অন্নপূর্ণা দেবীর গৃহে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন তিনি |জন্ম থেকেই তিনি ছিলেন বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী|যত বয়স বাড়তে লাগলো শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের মধ্যে এক ঐশরিক শক্তির বিকাশ হতে থাকলো|ক্রমে তিনি একজন জ্ঞানী শাস্ত্রজ্ঞ ও বৈষ্ণব শাস্ত্রে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী হয়ে উঠেছিলেন|

তৎকালীন হিন্দু সমাজের অসংখ্য নিপিড়িত, দরিদ্র ও তথা কথিত নিম্ন শ্রেণীর মানুষ দের তিনি পরম স্নেহে বুকে টেনে নিয়েছিলেন এবং তাদের সার্বিক উন্নতি সাধনই ছিলো তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য|তার মাধ্যমে প্রচারিত আদৰ্শ মতুয়া বাদ নামে খ্যাত যার প্রান কেন্দ্র বনগাঁর ঠাকুর বাড়ি|
বনগাঁরঠাকুরবাড়ি ও মতুয়া ধাম  একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে|প্রতি বছর চৈত্র মাসে মতুয়া ধামে মতুয়া মহামেলা বসে যাতে অংশগ্রহণ করেন অগুনতি মানুষ| এই সময়ে ভক্তরা কামনা সাগর’-এ ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান করেন|

সারা বিশ্বের ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য মতুয়াদের কাছে ঠাকুর বাড়ি বা মতুয়া ধাম অন্যতম শ্রেষ্ট তীর্থ যার সাথে জড়িয়ে আছে এক অনন্য সাধারণ আধ্যাত্মিকতার  ইতিহাস ও মতুয়াদের অবতার স্বরূপ শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অলৌকিক ও পবিত্র স্পর্শ|আপনারাও সময় সুযোগ বুঝে একবার অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন বাংলার এই মহান তীর্থ ক্ষেত্র থেকে|মনে প্রানে এক অদ্ভুত শান্তি অনুভব করবেন |ভালো থাকুন|নমস্কার|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here