মহালয়ার আধ্যাত্মিক তাৎপর্য

214

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

হিন্দু পঞ্জিকা মতে আজ মহালয়া|শাস্ত্র মতে মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপুজোর কোনও সরাসরি যোগ নেই|মহালয়ার এই বিশেষ সময় প্রেতলোক থেকে পিতৃপুরুষের আত্মারা ফিরে আসে এই মর্ত্যলোকে। তৈরি হয় এক মহা আলয়|মহা আলয় থেকেই মূলত মহালয়া শব্দের উৎপত্তি| সেই প্রয়াত পূর্বপুরুষদের স্মরণ করার দিনটিই হল মহালয়া|তর্পনের অর্থ হলো মূলত খুশি করা বা সন্তুষ্ট করা|মহালয়ার এই দিনটি দেবী পক্ষের সূচনা কাল বা  দুর্গাপুজোর শুরু বলেই আজকের বাঙালি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে সেই বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুর মর্দিনী অনুষ্ঠানের সম্প্রচারের সময় থেকে|

রামচন্দ্র লংকা বিজয়ের আগে শরত কালে দেবীর পূজা করেছিলেন যা অকাল বোধন নামে পরিচিত এবং মহালয়ার দিনে তিনি তার পূর্ব পুরুষের আত্মার উদ্দেশ্যে তর্পন করে, তাদের আশীর্বাদ নিয়ে  যাত্রা শুরু করেছিলেন|

আর কদিন পরেই দূর্গা পূজা|তবু আজ থেকেই পুজোর আমেজে ভাসবে গোটা বাংলা এবং কিছুদিন পরই পালিত হবে দূর্গা পূজা যা মূলত অশুভ শক্তিকে হারিয়ে শুভ শক্তির জয় লাভ করার উৎসব|বৈদিক দেবী দূর্গা মূলত শুভ শক্তির প্রতীক, পরাক্রম ও বীরত্বের প্রতীক  এবং মহিষাসুর সকল অশুভ শক্তি, ঔদ্ধত্য এবং অহংকারের প্রতীক| দেবীর হাতে মহিষাসুরের পরাজয় প্রমান করে অশুভ শক্তি যতই বলশালী ও ধ্বংসাত্বক হোক না কেনো সত্যের কাছে,শুভ শক্তির কাছে তার পরাজয় হতে বাধ্য|

আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে আমরা দেবীপক্ষে প্রবেশ করলাম|আপনাদের সবাইকে আসন্ন শারদউৎসবের শুভেচ্ছা|সবার দূর্গা পূজা খুব ভালো কাটুক|যেকোনো সমস্যার জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমাধানের উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|