বাংলার তীর্থ – গঙ্গাসাগর

405

বাংলার তীর্থ নিয়ে প্রথম পর্বে আপনাদের নিয়ে গেছিলাম মায়াপুর|আজ গঙ্গাসাগরের কথা বলবো|কথায় বলে ‘সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার’ অর্থাৎ বহু তীর্থ বারবার ভ্রমণ করলে যে পুন্য হয় একবার গঙ্গাসাগর ভ্রমণ করলে তার সমান পুন্য লাভ হয়|কলকাতা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপের আয়তন প্রায় ৩০০ বর্গকিলোমিটার। 

পুরান মতে হরিশ্চন্দ্রর বংশের রাজা সাগর ঠিক করলেন যে তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞ করবেন। নিয়ম অনুযায়ী ঘোড়া ছেড়ে দেওয়া হল কিন্তু ঘোরা আর ফেরেনা।সাগর রাজার ষাট হাজার ছেলে ঘোড়া খুজতে খুজতে গঙ্গাসাগরে গিয়ে দেখে মহামুনি কপিল বসে ধ্যান করছেন আর তাঁর পাশেই অশ্বমেধের ঘোড়া দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেরা রেগে গিয়ে কপিল মুনিকে গালি গালাজ করাতে, কপিল মুনি ধ্যান ভঙ্গ হবার রাগে একবার এই ষাট হাজার ছেলের দিকে তাকান আর তারা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।কালক্রমে এদের বংশধর রাজা দিলীপের পুত্র ভগীরথ তার ঐ ষাট হাজার পুর্বপুরুষ  উদ্ধার করবে বলে গঙ্গাদেবীকে মর্তে নিয়ে আসেন ও গঙ্গাসাগরে গঙ্গা সমুদ্রে প্রবেশ করে|এই স্থান তাই হিন্দুদের কাছে অতি পবিত্র|

সাগর দ্বীপ ও আশ্রম ছাড়াও এখানে আছে  সাগরদ্বীপের মন্দিরতলা, ধবলাট, মনসাদ্বীপ, হরিণবাড়ি, সুমতিনগর, মহিষমারি এলাকার ভূগর্ভস্থ পাকা বাড়ি, দেবাঙ্গন, বিষ্ণু ও জৈনমূর্তি প্রাক-ইসলাম যুগের দিকে টেনে নিয়ে যায় বলে মনে করেন প্রত্নতাত্বিকরা। এই দ্বীপে রাজা প্রতাপাদিত্যের নৌবহরের ঘাঁটি ছিল বলে মনে করা হয়।প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মিলন উৎসব গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হয় এই সাগর দ্বীপে|

আগামী দিনে সময় পেলে ও সুযোগ এলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই মহান তীর্থক্ষেত্রথেকে|পড়তে থাকুন| দেখা হবে আগামী পর্বে||যেকোনো জ্যোতিষ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|