জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত
আবার কোভিডে আতঙ্কে অনেকেই প্রায় ঘর বন্দী, এই শীতে অনেকেরই বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল হয়েছে তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই আবার সব স্বাভাবিক হবে এবং আবার বেড়াতে যাওয়া হবে, সবই শুধু সময়ের অপেক্ষা|আজ আমার বেড়ানোর একটি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো|সোমবার আজ তাই একটি শিব মন্দিরে কথাই লিখবো যা অবস্থিত উত্তর বঙ্গের দার্জিলিং এ|
দার্জিলিং এ রয়েছে একটি অত্যান্ত প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ শিব মন্দির, মহাকাল শিব,মন্দিরের মূল মন্দিরের সামনে প্রবেশ দ্বারের কাছেই রয়েছে শিবের বাহন নন্দীর বিশাল প্রস্তর খচিত মূর্তি এখানে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে এক অপূর্ব সহাবস্থান চোখে পড়ে|এই মন্দিরের বিশেষত্ব এটি|
এই গোলাকার মন্দিরের মাঝখানে শিবলিঙ্গ ও বুদ্ধ মূর্তির সাথে হিন্দুদের ব্রাহ্মন পুরোহিত ও বৌদ্ধদের সন্যাসীকে একসাথে নিজ নিজ আরাধ্য ভগবানের অর্চনা করতে দেখা যায়|স্বাভাবিক ভাবেই হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মের মানুষের কাছেই স্থানটি অত্যন্ত পবিত্র এবং আস্থার|
দার্জিলিং এর চৌরাস্তা থেকে কয়েক মিনিটের হাঁটা পথে পৌঁছানো যায় মহাকাল মন্দিরে|দার্জিলিং শব্দের অর্থই দেবতার স্থান তাই শুরু থেকেই
দার্জিলিং স্থানটির সাথে আধ্যাত্মিকতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে|
কোনো এক সময় এই স্থান সিকিমের রাজারদের অধীনে থাকার সময় সেখানে বৌদ্ধদের আশ্রম ছিল। বৌদ্ধ সন্যাসীরা এই জায়গার নামকরন করেছেন ‘দোর্জে’ ও ‘লিং’ দুটি শব্দ থেকে যার অর্থ বজ্রের দেশ|যার অন্যতম আকর্ষণ নিঃসন্দেহে এই মহাকাল শিব মন্দির|আগামী দিনে দার্জিলিং ভ্রমন কালে কাঞ্চন জঙ্ঘা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনের পাশাপাশি অবশ্যই মহাকাল মন্দির দর্শক করুন ও বাবা মহাদেবের আশীর্বাদ লাভ করুন|
আগামী পর্বে অন্য কোনো শিব মন্দিরের কথা নিয়ে ফিরে আসবো|এই সংকটময় সময়ে যারা বাড়িতে বসেই জ্যোতিষ পরামর্শ গ্রহণ করতে বা কোনো সমস্যার সমাধান পেতে চান তারা যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|