তন্ত্র কথা – বৌদ্ধ তন্ত্র ও রেইকি

267

তন্ত্র নিয়ে লেখালেখি অসম্পূর্ণ থেকে  যাবে যদি  বৌদ্ধ বা তিব্বতি তন্ত্র নিয়ে আলাদা করে  না বলি এবং বৌদ্ধ তন্ত্রের একটি ব্যবহারিক  দিক হচ্ছে রেইকি যা বহু  মানুষের জীবনের বহু সমস্যার সমাধান করতে  পারে এবং পেশাদার রেইকি বিশেষজ্ঞ হিসাবে আমি নিজে রেইকির সফল  প্রয়োগের সাক্ষী থেকেছি  বহুবার|

যদিও  আসলে হিন্দু বা বৌদ্ধ তন্ত্র বলে আলাদা কিছু নেই বিশেষ করে  মূল দর্শন, সাধনা ও বিষয়ের মধ্যে কোন তফাত নেই। তন্ত্র একটি স্বতন্ত্র সাধনা পদ্ধতি এবং এই সাধনা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হিন্দু তত্ত্বের সাথে যুক্ত হয়ে একে হিন্দু তন্ত্রের রূপ দান করেছে। আবার বৌদ্ধ তত্ত্বের সাথে যুক্ত হয়ে এটি বৌদ্ধতন্ত্রের রূপ দান করেছে|সেক্ষেত্রে বৌদ্ধ এবং প্রাচীন হিন্দু তন্ত্রর আসল  উদ্দেশ্যে একই, প্রকৃতির গোপন  শক্তি কে জাগিয়ে তুলে মানুষের জীবনে শুভ  প্রভাব সৃষ্টিকরা ও নানা বিধ সমস্যার সমাধান করা|

তন্ত্রে পূজিত দেবে দেবীর কথা  বলতে গেলে বলা যায় যে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবীর উত্‍পত্তির ইতিহাসে বিশেষ পার্থক্য নেই।হিন্দু-তন্ত্রে যেমন শিব ও শক্তিকে অবলম্বন করে তন্ত্র সাধনা গড়ে উঠেছে, তেমনই বৌদ্ধ-তন্ত্রেও করুণারূপী ভগবান্ ও প্রজ্ঞারূপিণী দেবী ভগবতীকে নিয়ে তান্ত্রিক সাধনা গড়ে উঠেছে। প্রাচীন তিব্বতি বৌদ্ধ তন্ত্রে দেবী তারার উল্লেখ আছে আবার বৌদ্ধ তন্ত্র সাধনায়  নীল সরস্বতী একজন গুরুত্বপূর্ণ দেবী|

বৌদ্ধ ধর্মের  বিভিন্ন শাখা গুলির মধ্যে  বজ্রজান সম্প্রদায় তাদের তন্ত্র মন্ত্রর সারা বিশ্বে ব্যাপক ভাবে আলোচিত  হয়|প্রাচীন বৌদ্ধ তন্ত্র গ্রন্থগুলিতে উড্ডিয়ান, কামাখ্যা, শ্রীহট্ট ও পূর্ণগিরি এই চারটি তন্ত্র পীঠস্থান বলে উল্লেখ আছে, যা বৌদ্ধদেবী বজ্রযোগিনীর পূজার জন্য বিখ্যাত ছিলো। তাছাড়া নালন্দা,সারনাথ বিক্রমশিলা, ওদন্তপুরী, জগদ্দল ইত্যাদি প্রাচীন বৌদ্ধ বিদ্যাপীঠস্থান বজ্রযান অর্থাত্‍ বৌদ্ধ তন্ত্র

তন্ত্র শাস্ত্রর আসল  সত্য উপলব্ধি করে  প্রকৃতি  ও মানুষের জীবনকে আরো সহজ  ও সুন্দর করে  গড়ে  তোলাই তন্ত্রের আসল কথা এক্ষেত্রে যুগ যুগ  ধরে  সফল ভাবে ব্যবহিত  হচ্ছে রেইকি যা বৌদ্ধ তন্ত্র থেকে  উৎপন্ন হয়েছে এবং জাপান হযে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়েছে ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে|আপনারাও নিজেদের জীবনের  যেকোনো সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন|এক্ষেত্রে শারীরিক দুরুত্ব কোনো বাধা নয়|ভালো থাকুন|নমস্কার|