বাংলার তীর্থ – হংসেশ্বরী কালী মন্দির

223

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

বাংলার তীর্থ নিয়ে লিখতে গিয়ে অসংখ্য কালী মন্দির, শিব মন্দির ও পৌরাণিক স্থানের কথা পড়েছি, কোথাও কোথাও নিজে গেছি, আজ
হুগলী জেলার প্রসিদ্ধ কালী মন্দির হংসেশ্বরী কালী মন্দির নিয়ে লিখবো|

ইতিহাস অনুসারে তৎকালীন রাজা নৃসিংহদেব ১৭৯৯ খ্রিষ্টাব্দে হংসেশ্বরী কালীমন্দিরের নির্মাণ শুরু করেন এবং তার মৃত্যুর পর ১৮১৪ খ্রিষ্টাব্দে তার বিধবা পত্নী রাণী শঙ্করী মন্দির নির্মাণ সম্পন্ন করেন|বর্তমানে হুগলি জেলার বাঁশ বেড়িয়াতে অবস্থিত এই প্রাচীন ও সুবিশাল কালী মন্দির টি|

মন্দিরের ২১ মিটার মিনারের রূপ যেন একটি ফোটা পদ্মফুল। মন্দিরের মূল চূড়ার শীর্ষে সহস্রদ্বারে রয়েছেন পরম পুরুষ শ্বেতবর্মধারী মহাদেব আর সভাগৃহের মূলধারে কুলকুন্ডলিনী শক্তিরূপ হংসেশ্বরী।শোনা যায়, মন্দির তৈরির পাথর আনা হয়েছিল চুনার থেকে আর রাজস্থানের জয়পুর থেকে কারিগরদের আনা হয়েছিল

এই মন্দিরের পুজোর একটি প্রাচীন ও রহস্যময় রীতি আছে|দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ম মেনেই চলে আসছে মায়ের পুজো|পুজোর দিন মা হংসেশ্বরীর মুখে মা কালীর একটি মুখোশ পরিয়ে দেওয়া হয়। আবার  পুজোর পরের দিন সেই মুখোশ খুলে নেওয়া হয়|

দেবী হংসেশ্বরী দর্শনের জন্য বহু সারা বছরই মানুষ আসেন  দূর দূরান্ত থেকে|বিশেষ বিশেষ থিতিতে বিশেষ পুজো উপলক্ষে ভিড় হয় বেশি|

আশা করি ভালো লাগলো আজকের পর্ব আবার ফিরবো পরের পর্বে|যারা আগামী দিনে হুগলী যাবেন অবশ্যই এই মন্দির দর্শন করবেন|যারা অনলাইনে বা চেম্বারে|জ্যোতিষ পরামর্শ ও জ্যোতিষ প্রতিকার নিতে চান  যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|