বাংলার তীর্থ – আদ্যাপীঠ

450

অত্যন্ত সফল ভাবে কলকাতা চেম্বার শেষ হলো, তবে বিশ্রামের আপাতত সুযোগ নেই সামনে অনেক কাজ|আসন্ন দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষে আপনাদের মা মুক্তেশ্বরীর মন্দিরে বিশেষ পুজো, হোম যজ্ঞ ও গ্রহ শান্তির আয়োজন নিয়ে ব্যাস্ততা এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে|পাশাপাশি অনলাইনে সর্বদাই চলছে জ্যোতিষ পরামর্শ ও জন্ম ছক বিশ্লেষণ|তার মাঝেই কিছুটা সময় বের করে আজ লিখতে বসেছি আমার অত্যন্ত প্ৰিয় একটি কালী তীর্থ আদ্যাপীঠ নিয়ে|

দক্ষিনেশ্বরের কাছেই ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও অন্নদা ঠাকুরের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই মন্দির 10 কাটা জমির উপর নির্মিত তবে প্রায় 27 বিঘা জমি জুড়ে রয়েছে আদ্যাপীট সংঘ|মুল মন্দির প্রায় একশো ফুট উঁচু|সামনে রয়েছে সু দৃশ্য নাট মন্দির|মুল মন্দিরে আদ্যা শক্তির অষ্ট ধাতুর মূর্তি রয়েছে এবং তার নিচে রয়েছে রামকৃষ্ণ দেবের মূর্তি|এছাড়াও মন্দিরের পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ছয় টি আটচালা শিব মন্দির|

ঠাকুর তার ভক্ত ও শিষ্য অন্নদা ঠাকুরকে নির্দেশ দিয়ে ছিলেন কলকাতার একটি দীঘি থেকে দেবী মূর্তি উদ্ধার করে নিয়ে এসে দক্ষিনেশ্বর এর অদূরে আরিয়া দহে এক মন্দির নির্মাণ করতে অন্নদা ঠাকুর আদেশ পালন করে ছিলেন| ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেবের প্ৰিয় শিষ্য ছিলেন অন্নদা ঠাকুর|

প্রথা মেনে প্রতিদিন দুপুরে ও সন্ধ্যায় মা আদ্যার আরতি হয় এই সময় ছাড়া বন্ধ থাকে মন্দিরের প্রধান দরজা|তবে সর্ব সাধারণ কে দেবীর দর্শন করতে হয় সামনের নাট মন্দির থেকে কারন মুল মন্দিরে সর্ব সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ|কথিত আছে এক রাম নবমীর রাতে মা আদ্যা শক্তি অন্নদা ঠাকুর কে দর্শন দিয়েছিলেন এবং আদ্যা স্তোত্র পাঠ করে শুনিয়েছিলেন এবং অন্নদা ঠাকুর এই আদ্যা স্তোত্র লিখে রাখেন যা আজও পাঠ করা হয় মন্দিরে|

আজকের বিশেষ পর্ব এখানেই শেষ করছি|ফিরবো আগামী পর্বে অন্য কোনো তীর্থ ক্ষেত্রর কথা নিয়ে|যারা আসন্ন দীপান্বিতা তিথি তে জ্যোতিষ পরামর্শ বা প্রতিকারের জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করতে চান অথবা অনলাইনে ভাগ্য বিচার করাতে চান তাদের জন্য আমার নাম্বারে উল্লেখ করা রইলো| ফোন করে সরাসরি কথা বলতে পারেন আমার সাথে|ভালো থাকুন| নমস্কার|