রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্টা দিবস

123

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

ঠাকুর বলতেন শিব জ্ঞানে জীব সেবা। সেই শিব জ্ঞানের জীব সেবার আদর্শকে বাস্তবায়িত করার
জন্য প্রয়োজন হয়েছিল একটি সংঘ একটি প্লাটফর্ম যার জন্য তৈরী হয়েছিলো মিশন।
শুরুতে নেতৃত্বে ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।
মিশনের আদৰ্শ বা লক্ষ্যে মূলত তিনটি – ধর্ম
সেবা ও শিক্ষা। এই লক্ষ্যেই আজও অবিচল
রামকৃষ্ণ মিশন।

১৮৯৭ সালের ১ মে, রামকৃষ্ণ মিশন
প্রতিষ্ঠিত হয় করেন স্বামী বিবেকানন্দ সঙ্গে ছিলেন ব্রম্হানন্দ এবং তুরিয়া নন্দের মতো গুরু ভাইরা।
সেই অর্থে এবছর ১২৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। তবে এই দীর্ঘ চলার পথের সূচনা মোটেও সহজ ছিলোনা।

ঠাকুরের দেহত্যাগের পর কলকাতার বলরাম বসুর বাসভবনে আয়োজিত রামকৃষ্ণদেবের ভক্তদের এক অধিবেশনে স্বামীজি রামকৃষ্ণ মিশন তৈরির কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন।

তারপর একের পর এক বাঁধা সমস্যা কাটিয়ে প্রথমে বরানগরে ও পরবর্তীতে হাওড়ায় তৈরী হয় রামকৃষ্ণ মিশনের কেন্দ্র। তারপর একে একে মন্দির। স্কুল কলেজ। সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হাসপাতাল সবই হয়। অক্লান্ত পরিশ্রম করেন ঠাকুরের মানস পুত্ররা।

আজ শুধু ভারতেই নয়, ভারতের বাইরেও ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতি বিস্তারের উদ্দেশ্যে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শতাধিক শাখা স্থাপিত হয়েছে। আজ মিশনের সাথে জড়িত সব ভক্ত শিষ্য এবং অনুরাগীদের বড়োই আনন্দের ও গর্বের দিন।

আজ প্রতিষ্ঠা দিবসে মিশনের সব সন্ন্যাসী মহারাজ দের জানাই আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম। সব গুরুভাই ও সহকর্মী দের জন্য রইলো অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জয় রামকৃষ্ণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here