শুভ দোল যাত্রা

132

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

বৈষ্ণবদের মতে, দোল পূর্ণিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে শ্রীরাধা ও অন্যান্য গোপীদের সঙ্গে রঙ খেলায় মত্ত ছিলেন। সেখান থেকেই দোলযাত্রার শুরু। সেই তিথি সেই মুহূর্তকে স্মরণ করেই পালিত হয় দোল যাত্রা যার প্রধান উপাদান হলো রং। আজ আনন্দের রঙে বা প্রেমের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নেয়ার ও নিজের প্ৰিয়জনদের রাঙিয়ে নেয়ার দিন।

আবার দোলের পরদিন দেশ জুড়ে পালিত হবে হোলি যাকিনা বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতারের সময়ে প্রল্ল্হাদ কে হত্যা করতে আসা রাক্ষসী হোলিকা বধের দিন|

আবার বৈষ্ণব ধর্মে দিনটির অন্য মহাত্ম রয়েছে, এমনই এক দোল পূর্ণিমা তিথীতে জন্মে ছিলেন মহা প্রভু শ্রী চৈতন্য|তার জন্ম তিথি হিসেবে ইস্কন এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজ এই দিন টা পালন করে, কীর্তন হয়, বিশেষ পূজা হয় আর হয় মহা মন্ত্র জপ|অনেকে দোল পূর্ণিমাকে গৌর পূর্ণিমাও বলেন।

তবে বাঙালির সব উৎসবের সাথেই কোনো না কোনো ভাবে জড়িয়ে যান কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর এই দোল যাত্রা তার ছোয়ায় পেয়েছে নতুন মাত্রা, শাম্তি নিকেতনে গুরুদেবের দেখানো পথে আজ পালিত হয় বসন্ত উৎসব, সেও এক প্রেমের উৎসব,  নতুন কে বরণ করে নেয়ার উৎসব|

সবাইকে জানাই দোল যাত্রা ও হোলির অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|ভালো থাকুন|সুস্থ থাকুন। জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত হোক রঙিন।