বাংলার তথাকথিত কম জনপ্রিয় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এবং জাগ্রত কিছু তীর্থক্ষেত্রের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই আমার কলম ধরা|আগের পর্বে আমার জন্মস্থান মালদার একটি তীর্থ ক্ষেত্র নিয়ে লিখে ছিলাম আজ মালদার পাশের জেলার মুর্শিদাবাদের একটি মন্দিরের কথা বলবো|
মুর্শিদাবাদের ইতিহাস মানেই নবাবী ইতিহাস নয়|মুর্শিদাবাদের ইতিহাস আরো প্রাচীন|সেই ইতিহাসে আছে ৫১ পীঠের মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম এই প্রসিদ্ধ মন্দিরটি।
মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম প্রাচীন এই কালী মন্দিরের উল্লেখ আছে কিছু শাস্ত্রে এবং বলা আছে
দেবী সতীর মুকুট এই স্থানে পড়েছিল।আশ্চর্য জনক ভাবে মন্দিরে দেবীর কোনও মূর্তি বাবিগ্রহের পুজো করা হয় না এবং তার পরিবর্তে একটি কালো পাথরকেই বিগ্রহ রূপে পুজো করা হয়।
বহু আগে এখানে কাঠের তৈরি পুরাতন কাঠামো ছিলো যা নষ্ট হয়ে গেলেও নতুন আঙ্গিকে এই মন্দিরে ফের গড়ে তোলা হয় উনিশ শতকে।
স্থানীয় জমিদার দর্পনারায়নের প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া মন্দিরটি সারা বাংলাজুড়ে প্রসিদ্ধ এবং সারা দেশে অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগী আছেন যারা
মনে করেন, এখানে দেবীর কাছে ভক্তিভরে পুজো দিলে তাদের মনস্কামনা পূরণ হয়। দেবী কীর্তিশ্বরী কাউকে খালি হাতে ফেরান না।
শীতে যারা মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা হাজার দুয়ারী বা বড়ো ইমামবাড়ার পাশাপাশি কীর্তিশ্বরী মন্দির দর্শন করতে ও পুজো দিতে ভুলবেন না|
সারা রাজ্যেই প্রায় আমাকে ঘুরে বেড়াতে হয় চেম্বারের জন্য এবং যখনই সুযোগ হয় দর্শন করি মন্দির ও তীর্থ ক্ষেত্র |আগামী পয়লা ডিসেম্বর থাকছি কলকাতায়|আসতে পারেনা নিজের সমস্যা নিয়ে|ধন্যবাদ|