বাংলার মাতৃ সাধক – কমলাকান্ত

678

বাংলার মাতৃ সাধকরা সারা দেশে নানা ভাবে সমাদৃত ও আলোচিত হন,আসলে বাংলা মাতৃ সাধকদের বিচরণ ভূমি, বামা ক্ষ্যাপা, রামকৃষ্ণ, রামপ্রসাদ, কমলা কান্ত, একের পর এক প্রখ্যাত সাধক আবির্ভুত হয়েছেন এখানে, আমাদের নিজের বংশে বহুকাল ধরে মা মুক্তেশ্বরীর পুজো চলে আসছে বহুকাল ধরে|আজ থেকে এই বিশেষ ধারাবাহিক লেখায় বাংলার মাতৃ সাধকদের কথা বলবো|আজ প্রথম পর্বে সাধক কমলা কান্ত|

কমলাকান্তের জন্মস্থান বর্ধমান জেলার গঙ্গাতীরস্থ অম্বিকা কালনা। মাতার নামা মহামায়া, পিতার নাম মহেশ্বর। দশ বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগ হয়। বালক কমলাকান্ত সুগায়ক ছিলেন এবং রামপ্রসাদের গানে বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি মাঠে ঘাটে আপনমনে গান গেয়ে বেড়াতেন। শোনা যায়, একদিন রাত্রে গঙ্গাতীরের শ্মশানের অন্ধকারে আত্মমগ্ন হয়ে গান গাইবার সময় এক অশরীরী তান্ত্রিক কাপালিক তাঁকে কালীনামে দীক্ষা দিয়ে যান এবং সেই মন্ত্র জপ করতে করতে সেখানেই আনন্দময়ী নৃত্যরতা শ্যামা মায়ের দর্শন পান।

বর্ধমানের মহারাজ তেজ চাঁদ কমলাকান্তের গানে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে সভা পণ্ডিত করে বর্ধমান রাজবাড়িতে নিয়ে যান।মহারাজ তেজচাঁদ কমলাকান্তকে এই কালীমন্দির গড়ে দেন। এখানেই সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন সাধক কমলাকান্ত।কমলাকান্ত ছিলেন একাধারে সংগীত শিল্পী, তন্ত্র সাধক ও কবি|অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী এই মাতৃ সাধকের জীবন জুড়ে রয়েছে অসংখ্য অলৌকিক ঘটনা|একটি পর্বে কমলা কান্তর সাধনা ও জীবন বর্ণনা করা সম্ভব নয় তাই বাকি কথা লিখবো আগামী পর্বে|

প্রত্যেক প্রাচীন কালী মন্দির ও মাতৃ সাধক বংশকে ঘিরে থাকে অলৌকিক ঘটনাবলী ও আধ্যাত্মিক চেতনা|আপনাদের মা মুক্তেশ্বরী ও ব্যাতিক্রম নয় আগামী দিনে আরো অনেক তথ্য ও কর্মকান্ড নিয়ে ফিরে আসবো|ভালো থাকুন|নমস্কার|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here