বাংলার তীর্থ – কীর্তিশ্বরী কালী মন্দির

191



বাংলার সর্বত্র ছড়িয়ে আছে অসংখ্য কালী মন্দির আর তাদের প্রত্যেকটি নিয়ে রয়েছে কিছু কিংবদন্তী কিছু অলৌকিক ঘটনাবলীর উল্লেখ যা এই তীর্থ ক্ষেত্র গুলিকে অন্য মাত্র দিয়েছে|আজ এমনই এক কালী মন্দিরের কথা বলবো যা কীর্তিশ্বরী মন্দির নামে খ্যাত|অবস্থান মুর্শিদাবাদ জেলায়|


মন্দিরটি এই জেলার অন্যতম প্রাচীন কালী মন্দির।একসময় এই মন্দিরের পুরাতন কাঠামো বর্তমানে নষ্ট হয়ে গেলেও গেলেও নতুন আঙ্গিকে এই মন্দির গড়ে তোলেন ঊনিশ শতকে রাজা দর্প নারায়ণ।
কীর্তিশ্বরী মন্দিরে বিশেষ কোন বিগ্রহের পূজা করা হয় না একটি কালো পাথরকেই বিগ্রহ রূপে পূজা করা হয়ে থাকে|কীর্তিশ্বরী মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত মন্দির বলে প্রসিদ্ধ সারা বাংলা জুড়ে এবং প্রায় সারা বছর জুড়েই ধৰ্মপ্রাণ হিন্দুরা ও মায়ের উপাসকরা এই মন্দিরে ভক্তিভরে পূজা দিয়ে যান এবং তাদের মনষ্কামনা পূর্ণ করেন বলেই এই মন্দিরের খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে|


বলা হয় বাংলার ছয়টি জাগ্রত কালী মন্দির, যেখানে গেলে সকল মনের বাসনা পূরণ হবেই।
তার মধ্যে অন্যতম কালিক্ষেত্র কীর্তিশ্বরী মন্দির|
কীর্তিশ্বরী মন্দির মুর্শিদাবাদে অবস্থিত যা কিছু প্রাচীন গ্রন্থ অনুসারে ৫১ পীঠের অন্যতম|যারা এটিকে শক্তির মনে করেন তাদের বিশ্বাস দেবী সতীর মুকুট এই স্থানে স্থানে পড়েছিলে|
আগামী দিনে মুর্শিদাবাদ ভ্রমণে গেলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই মন্দির থেকে|আবার আগামী দিনে বাংলার অন্য কোনো তীর্থ ক্ষেত্র নিয়ে বলবো|ভালো থাকুন|নমস্কার|