জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত
আর কিছুদিন পর কৌশিকী অমাবস্যা|তন্ত্র সাধনার শ্রেষ্ঠ সময় গুলির অন্যতম|আপাতত কয়েকটি পর্বে সংক্ষেপে তন্ত্রশাস্ত্র কে সহজ সরল ভাবে উপস্থাপন করবো এই ধারাবাহিক লেখার মাধ্যমে|
ভারতের আধ্যাত্মিক জগতের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তন্ত্র শাস্ত্র|বহিঃবিশ্বর কাছে ভারতীয় তন্ত্র ও তান্ত্রিকদের জীবন যাত্রা এক রহস্য|তবে তারমানে এই নয় যে শুধু মাত্র ভারতেই তন্ত্র ছিলো এবং আছে|পৃথিবীর বহু প্রাচীন তম সভ্যতায়ও তন্ত্র শক্তির অস্তিত্ব ছিলো এবং আছে|প্রাচীন ইজিপ্ট, মায়া সভ্যতা এবং আফ্রিকা জনজাতির মধ্যেও তন্ত্র সাধনা ছিলো|তন্ত্র ভারতের অতিপ্রাচীন এবং গুরু পরম্পরার একটি গুপ্ত বিদ্যা।ভারতীয় তন্ত্রশাস্ত্র প্রাচীনতম এবং সুসংগঠিত|গুপ্তযুগের শেষভাগে এই প্রথার পূর্ণ বিকাশ ঘটে। মূলত বৌদ্ধধর্মের হাত ধরেই পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিস্তার লাভ করে এই তন্ত্রশাস্ত্রটি।
যদিও তন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত আছে মন্ত্র ,যন্ত্র তবে সে বিষয় গুলি নিয়ে পরে আলোচনা হবে|তন্ত্র সাধনার উদ্দেশ্য কি একথার একটি সহজ উত্তর হতে পারে তন্ত্র সাধনায় সাধক সৃষ্টির রহস্য জেনে পরমানন্দ অনুভব করে|মন থেকে মন্ত্র এবং তনু বা শরীর থেকে তন্ত্র|তন্ত্র শব্দটির অর্থ ব্যাপক ও বিস্তৃত|সংক্ষেপে তন্ত্র হচ্ছে এই সৃষ্টির পরিচালনার নিয়ম ।
ভারতীয় তন্ত্র শাস্ত্র মতে মহাদেব বা শিবের ডমরু থেকে তন্ত্রের উৎপত্তি| সতী বা দেবি দূর্গার দশ হাতে আছেন দশ মহাবিদ্যা । এই দশমহাবিদ্যার উপর ভিত্তি করেই অনেকটা তন্তশাস্ত্র গড়ে উঠেছে|দশ মহাবিদ্যার ব্যাখ্যা আগেই ধারাবাহিক ভাবে করেছি|
সাধারনভাবে, তন্ত্র অসীম জ্ঞানের আধার । সাধক শ্রীরামকৃষ্ণের তন্ত্রসাধনা রিসার্চ করলে দেখা যায়, যা অবিদ্যাকে গ্রাস করে তাই জ্ঞান|তন্ত্র জ্ঞানচক্ষু উম্মোচন করে ।সৃষ্টির কারন বুঝতে সাহায্য করে তন্ত্র সৃষ্টি , স্থিতি ও বিনাশের পরিচালনা শক্তি । ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর এই তিন শক্তির পরিচালনা নিয়ম ব্যাক্ত করে তন্ত্র|
আগামী পর্ব গুলিতে তন্ত্র শাস্ত্র সম্পর্কে আরো জানবো জানবো জ্যোতিষ শাস্ত্রে ও সাধারন মানুষের জীবনে তন্ত্রের ভূমিকা সম্পর্কে|পড়তে থাকুন|যেকোনো জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে চেম্বারে আসতে পারেন অনলাইনে পরামর্শ নিতে পারেন|ফোন করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|