শ্রাবন মাসের ন্যায় চৈত্র মাসেও গোটা বিশ্বের শিব ভক্তরা শৈব্য তীর্থ গুলিতে ভ্রমণ করেন, বাবা মহাদেবের দর্শন করেন ও তার কাছে নিজের মনোস্কামনা জানান, কারন এই মাসের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে দেবাদিদেব মহাদেবের|আর কিছুদিন পরেই গাজন উৎসব, নীল পুজোর, সবই শিব কে উপলক্ষ করে|
আজ উত্তর বঙ্গের বিখ্যাত এক শিব তীর্থর কথা উল্লেখ করবো|উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার প্রসিদ্ধ তীর্থক্ষেত্র হল জল্পেশ মন্দির।কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণের বাবা বিশ্ব সিংহ ১৫২৪ সালে প্রথম এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।১৫৬৩ সালে মন্দিরটি পুনর্নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ১৬৬৩ সালে রাজা প্রাণ নারায়ণও একবার মন্দিরটি নতুন করে গড়ে তোলেন।
ভ্রামরী শক্তিপিঠের ভৈরব হলেন জল্পেশ। শিব এখানে গর্তের মধ্যে রয়েছেন, তাই তিনি অনাদি নামেও পরিচিত।উত্তর বঙ্গ ভ্রমন অসম্পূর্ণ থেকে যায় বাবা জল্পেশ্বর এর দর্শন ছাড়া|বিশেষ করে শ্রাবন ও চৈত্র মাসের বহু দর্শণার্থী আসেন|বিশেষ পুজো হয় এবং সব মিলিয়ে উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন স্থানীয় থেকে দূর দুরন্তর মানুষ|
বর্তমান সময় জ্যোতিষ প্রতিকার গ্রহণ, শাস্ত্রীয় উপাচার ও রুদ্রাক্ষ ধারনের শ্রেষ্ট সময়|আমিও আগামী সতেরো তারিখ আসছি উত্তর বঙ্গে|প্রয়োজন বোধ করলে যোগাযোগ করতে পারেন|ভালো থাকুন|নমস্কার|