আজ কার্তিক পুজো,পুরানবিদেরা বলে থাকেন যে, হিন্দু ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের একটা পর্বে কার্তিক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দেবতা হিসেবে উত্তর ভারতে গুরুত্ব পেতেন! কিন্তু পরবর্তীকালে বিভিন্ন কারণে দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতের কিছু অংশ বাদ দিয়ে ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে কার্তিকের প্রভাব কমে যায়!
তারকাসুর বধের কারণে তাঁর জন্ম! আর্য দেবতা হয়েও আর্যাবর্তে আজ প্রায় ব্রাত্য! দক্ষিণ আর পূর্ব ভারতের সংকীর্ণ এক গণ্ডির মধ্যে পূজিত হন তিনি|দক্ষিণ ভারতে তিনিই মুরগান|
কার্তিক সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা হল তিনি শিব-পার্বতীর দ্বিতীয় পুত্র, রণনিপুণ, ময়ূরবাহন, স্বর্গরাজ্য বা দেবতাদের সেনাবাহিনীর প্রধান। আবার কোথাও তিনি অগ্নিদেবতা, যুদ্ধদেবতা, কখনও বা প্রজননের দেবতাও।
অন্যান্য দেবদেবীর মতোই কার্তিকের জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে বিভিন্ন পুরাণে নানা কাহিনী আছে,তারকাসুর নামে এক অসুরের অত্যাচারে অতিষ্ট দেবতারা ব্রহ্মার কাছে দরবার করলে ব্রহ্মা তাঁদের জানান যে শিব ও পার্বতীর মিলনে যে পুত্র জন্মাবে সে তারকাসুরকে বধ করতে সক্ষম। সেই উদ্দেশ্য সম্পন্ন হয় মহাদেবের কৃপায় কার্তিকের জন্মের মাধ্যমে|
একদা বাংলায় কার্তিকপুজো খুবই জনপ্রিয় ছিল বলে জানা যায়। উত্তরবঙ্গের অনেক জায়গায়, বিশেষ করে মালদাতে কার্তিকপুজো বেশ সমারোহের সঙ্গেই পালিত হয়। মালদার ফুলবাড়ি এলাকার কার্তিকপুজো এবং মেলা বিশেষ জনপ্রিয়। দক্ষিণবঙ্গের বাঁশবেড়িয়া চুঁচুড়া, পূর্বস্থলী, কাটোয়া অঞ্চলে কার্তিকপুজো মহাসমারোহে পালিত হয়|
আপনাদের সবাইকে জানাই কার্তিক পুজোর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|ভালো থাকুন|নমস্কার|