শ্রী অনিকেত
অনেকেই বলেন প্রেমের আবার নিদ্দিষ্ট কোনো দিন হয় নাকি। জীবনের প্রতিটি দিনই তো প্রেমের দিন। তা একদিক দিয়ে ঠিক। আবার যে প্রেম কে বাদ দিয়ে জীবন অর্থহীন সেই প্রেমের উদ্দেশ্যে যদিও একটি সম্পূর্ণ দিন উৎসর্গ করা হয় তাহলেই বা ক্ষতি কি? হয়তো এই রকম ভাবনা থেকেই একদিন শুরু হয়েছিলো এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন।
তবে এই ভ্যালেন্টাইন্স ডের একটা বর্ণময় ইতিহাস আছে।বহু বছর আগে রোমে ভ্যালেন্টাইন’স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তৎকালীন রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তার সেবায় সুস্থ্য হয়ে ওঠেন এক দৃষ্টি হীন নারী এতে ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। আর তাই তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল।মৃত্যু দন্ডর পর তার সমাধির পাশে লাগানো হয় একটি আলমন্ড গাছ যে গাছটি ক্রমশঃ স্থানীয় মানুষ বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের কাছে ভালোবাসার প্রতীক হয়ে ওঠে|সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স আজীবন নারী পুরুষের ভালোবাসাকে পবিত্র একটি সম্পর্ক হিসেবে দেখতেন। তাই তাকে প্রেমিক প্রেমিকারা তাদের আইকন মনে করতো হয়তো এটাই তার জনপ্রিয়তার অন্যতম কারন।
পরবর্তীতে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ভ্যালেন্টাইন’স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন’ দিবস ঘোষণা করেন|
যদিও আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিতে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ন্যায় ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন কতোটা যুক্তিযুক্ত সেই নিয়ে কিছু দ্বিমত বা বিতর্ক চিরকালই আছে। তবে প্রেম একটা আবেগ যে আবেগ কোনো দেশ কাল সীমানার গণ্ডী মানেনা তার বড়ো প্রমান এই ভ্যালেন্টাইন্স ডের আন্তর্জাতিক স্তরে জনপ্রিয়তা।
ভালো থাকুন। ভালোবাসুন |সবাইকে জানাই ভ্যালেন্টাইন্স ডের শুভেচ্ছা|জীবনের প্রতিটি দিন প্রেম ময় হোক। হোক আনন্দময়। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে।