বড়দিনের শুভেচ্ছা

131

আজ বড়দিন|আজ কেক খাওয়া থেকে,গির্জায় গিয়ে মোমবাতি জ্বালানো এবং প্রভু যীশুর কাছে প্রার্থনা জানানো সবই আমরা করে থাকি নিষ্ঠার সঙ্গে|এক্ষেত্রে একজন মহান আধ্যাত্মিক ব্যাক্তিত্ত্বের কথা না বললে নয়, তিনি প্রেমের ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব|হ্যাঁ যত মত ততো পথ তিনি শুধু মুখে বলেন নি নিজের জীবন দিয়ে তা উপলব্ধি করেছেন|তিনি বোধ হয় একমাত্র এবং প্রথম হিন্দু সাধক যিনি ক্রিস্টান মতে গির্জায় গিয়ে প্রভু যীশুর কাছে নিজেকে সপেঁ দেন কিছুদিনের জন্যে, সাধনা করেন ভাব বিভোর হয়ে|

বিশ্ব জুড়ে আজকের  দিনটিতে খ্রিস্টানরা যীশুখ্রিষ্টের জন্মবার্ষিকী উদযাপন পালন করেন, আমরা সবাই উৎসব পালন করি  যদিও বাইবেলে যীশুর জন্মের কোন দিন ক্ষণ পাওয়া যায়নি।
তবে পরবর্তীতে পোপ জুলিয়াস এই দিনটিকে যীশুর জন্মদিন হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন|
খ্রিস্টানদের বিশ্বাস মতে ২৫ শে ডিসেম্বর যীশুর জন্ম তারিখ ধরা হয়। উপহার একচেঞ্জ করা, ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, মিষ্টি বিতরণ করা আর অব্যশই সান্তা ক্লজের অপেক্ষা করা হয় উপহারের জন্যে|

আমাদের দেশ ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ আর এ শুধু কথার কথা নয়, প্রতিটি ধর্ম ও জাতীর সমান অধিকার আমাদের দেশে স্বীকৃত স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব আমরা পালন করি মহা সমারোহে বা বলা ভালো প্রবল উৎসাহ নিয়ে আমরা অংশ গ্রহন করি একে অন্যের উৎসবে|ভাগ করে নিই আনন্দ|ঈদ এবং দূর্গা পূজার পাশাপাশি বড়দিন ও তাই আমাদের কাছে বড়ো উৎসব|সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় এই মহান উৎসব, আর উৎসব প্রিয় বাঙালির বড়ো  প্ৰিয়, বড়ো কাছের এই বড়দিন|

আমার সব শুভাকাঙ্খী ও বন্ধুদের জানাই বড়দিনের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|ভালো থাকুন|সুস্থ থাকুন|হ্যাপি ক্রিসমাস|