মহিষাসুর মর্দিনী

477

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত

ব্রহ্মার বলে ওমরত্ত্বের সমান শক্তিশালী মহিষাসুর ত্রিলোক দখল করার চক্রান্ত করলে তাকে বধ করার উদ্দেশ্য নিয়ে আবির্ভুতা হন দেবী, তাকে অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করেন দেবতারা|তারপর হয় দেবী ও মহিষাসুরের যুদ্ধ|

আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গা এবং দৈত্যরাজ মহিষাসুরের মধ্যে দশদিনব্যাপী মহাযুদ্ধ হয়েছিল। এই মহিষাসুরকে পরাস্ত করা রীতিমত অসাধ্য হয়ে উঠেছিল। কারন মহিষাসুর মায়ার খেলা জানত। দুর্গাকে বিভ্রান্ত করতে সে একেকবার একেক জন্তু জানোয়ারের রূপ ধারণ করেছিল। দেবী দুর্গার জন্য এই যুদ্ধ করা ভীষণ কঠিন হয়ে ওঠে| যখন যুদ্ধে দেবী দুর্গা কর্তৃক অসুর ক্ষত হয়, তখন অসুরের ক্ষত স্থান থেকে রক্তের ফোঁটা মাটিতে পড়া মাত্র সেখান থেকে একই চেহারার আরেকটি অসুরের জন্ম হচ্ছিল। এভাবে দুর্গার তরবারির কোপে রক্তাক্ত অসুরের প্রতিটি রক্ত বিন্দু থেকে শত সহস্র অসুরের জন্ম হলো এবং দেবী দুর্গার দিকে ধেয়ে এলো। তখনই দেবী দুর্গা অন্য মূর্তী ধারণ করলেন। সে মূর্তীর রূপ হলো আরো ভয়ঙ্কর। লম্বা জিভ, চার হস্ত কালী মূর্তী। যার প্রধান কাজই ছিল অসুরের রক্তবীজ মাটিতে স্পর্শ করার আগেই লম্বা জিভ বের করে চুষে খেয়ে ফেলা। এভাবেই রক্তবীজ থেকে অসুরের উৎপত্তি বন্ধ হয়ে গেল।

দেবী দূর্গা মহিষাসুরকে তিনবার বধ করেন। প্রথমবার অষ্টভূজা উগ্রচন্ডা রূপে। দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার দশভূজা রূপে। যুদ্ধের দশম দিনে অসুর মহিষাসুর রূপ নিয়েছিল। যুদ্ধ কালে উপায়ান্তর না দেখে মহিষের দেহ থেকে যখন বেরিয়ে এলো বিশাল দেহী মানুষের রূপে।তখনই দেবী দুর্গার হাতের ত্রিশূল মহিষাসুরের বক্ষ্য ভেদ করল|
দেবীর হাতে বধ হলেন মহিষাসুর|রক্ষা পেলো সৃষ্টি|

প্রকৃত পক্ষে মহিষাসুর একজন বীর যোদ্ধা আবার অহংকার ও অজ্ঞানতার বসবর্তী হয়ে তিনিই হয়ে উঠে ছিলেন অশুভ শক্তির প্রতীক|দেবী দূর্গা কতৃক মহিষাসুর বধ আসলে অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক|শাস্ত্র মতে প্রতিপদ থেকে নবমী অবধি এই নয় দিন পালিত হয় নবরাত্রি|এক এক করে দেবীর নয়টি রূপের পুজো করেন তার ভক্তরা|জ্যোতিষ শাস্ত্রেও এই সময় অতি তাৎপর্যপূর্ণ|জ্যোতিষ পরামর্শ, প্রতিকার গ্রহন, বাস্তু দোষ খণ্ডন সব ক্ষেত্রেই এই সময় অন্যতম শ্রেষ্ঠ|প্রয়োজনে যোগাযোগ করবেন উল্লেখিত নাম্বারে  আমি ছিলাম আছি এবং থাকবো আপনাদের পাশে|দুর্গোৎসবের আগাম শুভেচ্ছা|ভালো থাকুন|নমস্কার|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here