সনাতন ধর্মের দেবদেবী – দেবী দূর্গা

432

দুর্গাপূজার আর হাতে গোনা কয়েকটি দিন বাকি|গোটা দেশ মাতবে শক্তি সাধনায় আর আমরা বাঙালিরা তো সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি দুর্গাপূজার|আজকের পর্বে দেবী দূর্গার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা জানবো|

দুর্গা মূলত শক্তি দেবী। ঋগ্বেদে দুর্গার বর্ণনা নেই, তবে ঋগ্বেদোক্ত দেবীসূক্তকে দেবী দুর্গার সূক্ত হিসাবেই মান্যতা দেওয়া হয়। দুর্গার বিশেষ আলোচনা ও পূজাবিধি তন্ত্র ও পুরাণেই প্রচলিত। যেসকল পুরাণ ও উপপুরাণে দুর্গা সংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে সেগুলি হল: মৎস্যপুরাণ, মার্কণ্ডেয় পুরাণ, দেবীপুরাণ, কালিকাপুরাণ ও দেবী ভাগবত। তিনি জয়দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, গন্ধেশ্বরী, বনদুর্গা, চণ্ডী, নারায়ণী প্রভৃতি নামে ও রূপে পূজিতা হন|

দুর্গাপূজা হল শক্তির অধিষ্ঠাত্রী দুর্গাদেবীর উপাসনার উৎসব। দুর্গাপূজা শরৎ এবং বসন্ত ঋতুর শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। মার্কণ্ডেয় চণ্ডী অনুযায়ী, দুর্গাপূজার প্রথম প্রচলন হয়েছিল বসন্ত ঋতুতে রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধি কর্তৃক। দেবী ভাগবত ও কালিকাপুরাণে উল্লেখ আছে, শরৎকালে শ্রীরামচন্দ্র দুর্গা পূজা করেছিলেন রাবণ বধের নিমিত্তে; এজন্য একে, ‘অকালবোধন’ও বলা হয়ে থাকে।

বাংলার  দুর্গোৎসব নিয়ে কথিত আছে নদিয়ার রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের উত্তরসূরি ভবানন্দ 1906 সালে প্রথম দুর্গা পুজা করেন ।পরবর্তীতে বারো জন বন্ধুর মাধ্যমে শুরু হয় বাংলার বারোয়ারী দুর্গা পুজা|দুর্গাপূজার সূচনা লগ্ন মহালয়ার কারন এদিন দেবী পক্ষের শুরু|এই তিথি জ্যোতিষ ও তন্ত্র শাস্ত্রেও গুরুত্বপূর্ণ|এবছর আপনাদের মা মুক্তেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ পুজো, হোম যজ্ঞ ও গ্রহ দোষ খণ্ডন অনুষ্ঠিত হবে|অংশ নিতে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here