আজ হনুমান জয়ন্তী অর্থাৎ রূদ্র অবতার হনুমানের আবির্ভাব তিথি|শুনলে হয়তো অবাক হবেন ভারতে রাম মন্দিরের থেকে হনুমান মন্দির সংখ্যায় বেশি|তার অগণিত ভক্তরা ছড়িয়ে রয়েছেন বিশ্বের সর্বত্র|আজ তাদের কাছে পবিত্রতম দিন|
বর্তমানে নানা কারনে পুরীর জগন্নাথ মন্দির বেশ আলোচনায় আছে|পুরী জগন্নাথ মন্দিরের সাথেও হনুমানের আছে এক অদ্ভুত সম্পর্ক|
যারা পুরীর মন্দিরে গেছেন হয়তো জানেন সেখানে দক্ষিণ দেউড়ির নাম হনুমানদ্বার। হনুমান আছেন বলেই সমুদ্রের গর্জন মন্দিরের অভ্যন্তরে পৌঁছয় না এবং এই নিয়ে আছে একটি পৌরাণিক ঘটনার উল্লেখ|
কথিত আছে, হনুমানএক বার মন্দিরের ভিতরে জগন্নাথ দর্শনে গিয়েছিলেন। সমুদ্রগর্জনে ভক্তরা তখন বিধ্বস্ত। জগন্নাথ এসে হনুমানকে বেঁধে রাখার নিদান দিলেন। কিন্তু কোন শিকল বাঁধবে তাঁকে? অগত্যা রামনাম লেখা শিকলে জড়িয়ে দেওয়া হল তাঁকে, তার পর থেকে হনুমান আর দরজা ছেড়ে অন্যত্র যান না সেই থেকে তিনি দ্বার রক্ষকের ভূমিকায় আছেন মন্দিরে|
আমাদের জ্যোতিষ শাস্ত্রে, বাস্তু শাস্ত্রে হনুমানের গুরত্ব অপরিসীম|হনুমানের আরাধনা করলে শনি গ্রহের কু প্রভাব থেকে বাঁচা যায় কারন হনুমানের কাছে পরাজিত গ্রহ রাজ কথা দিয়েছিলেন তিনি তার ও তার ভক্তদের অনিষ্ঠ করবেন না|বাস্তু শাস্ত্র অনুসারেও গৃহে পঞ্চমুখী হনুমান মূর্তি রাখলে দূর হয়ে বহু বাস্তু দোষ|
আজকের দিনে প্রণাম জানাই মহা বীর হনুমানকে|শুভেচ্ছা রইলো হনুমান জয়ন্তীর|জয় বজরংবলী|নমস্কার|