বিবাহের সঙ্গে জ্যোতিষ শাস্ত্রের অটুট ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে তা আমরা কম বেশি সবাই জানি ও মানি |বিবাহ জীবন যদি সুখের চান, তা হলে ভালবাসা আছে কী নেই, তা যেমন বিচার করবেন তেমনই প্রথমেই পাত্র-পাত্রীর কোষ্ঠী মিলছে কি না তা দেখে নেওয়া উচিত। যদি মেলে, তবেই বিয়ের বিষয় ভাবনা-চিন্তা শুরু করা উচিত, নচেৎ নয়|এক্ষেত্রে বৈদিক জোতিষ শাস্ত্র স্পষ্ট করে নির্দেশ দিয়েছে|
বিয়ের আগে কোষ্ঠী মিলিয়ে নেওয়ার প্রথা আজকের নয়, বহু যুগ আগে থেকেই চলে আসছে এবং এর থেকে যে সুফল পাওয়া যায়নি, এমনও নয়। বৈদিক যুগে ডিভোর্স ব্যাপার টা তো ছিলোই না এখন অসংখ্য সম্পর্ক ভেঙে যেতে দেখা যায়|জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এর অন্যতম কারন জোটক বিচার ছাড়া বিবাহ|
পাত্র-পাত্রীর মধ্যে গ্রহ-নক্ষত্রের মিলন না হলে হাজারও সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই তো কোন গ্রহের সঙ্গে কোন নক্ষত্রের মিলন হয়, তা দেখে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ৩৬টি গুণের মধ্যে পাত্র-পাত্রীর কতগুলি গুণ মিলছে, তা দেখা হয়। প্রসঙ্গত, যত বেশি সংখ্যক গুণের মিল হবে, বৈবাহিক জীবন তত ভাল হবে বলে মনে করেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা। এই জোটক বিচার পদ্ধতিকে বলে অষ্টকুট পদ্ধতি|এর মধ্যে রয়েছে আটটি বিভাগ এবং মোট ছত্রিশ পয়েন্ট|
তবে বিষয়টি এতো সহজ নয়, চন্দ্র, শুক্র এবং মঙ্গল সহ একাধিক গ্রহের বিচার করতে হয়|সপ্তম ভাব সহ আরো কয়েকটি ভাব ও নাক্ষত্রিক বিশ্লেষণ করে তবে সিদ্ধান্তে আসতে হয়|পাত্র পাত্রীর মধ্যে কেউ মাঙ্গলিক কি না তা দেখা হয়। যদি কেউ একজন মাঙ্গলিক হন,তার সঠিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন। এই ভাবে কোষ্ঠী মিললে তবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত|এক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ জ্যোতিষীই পারেন সঠিক দিশা দেখাতে|
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে জীবনে ভাল-মন্দ যা-ই ঘটুক না কেন, তার সঙ্গে গ্রহ-নক্ষত্রের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই বিশ্বাস করুন বা না-ই করুন, বিয়ের আগে কোষ্ঠী বিচারের প্রথাকে অগ্রাহ্য করা উচিত নয়, তা সে আপনি প্রেম করেই বিয়ে করুন বা সম্বন্ধ করে|সুখী বিবাহিত জীবনের জন্যে জোটক বিচারের কোনো বিকল্প নেই|প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|