জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত
আজ স্বামী বিবেকানন্দর জন্ম দিবস এবছর সারা দেশ জুড়ে মহা সমারোহে পালিত হবে স্বামীজীর একশো 160 তম জন্ম দিন এবং তার পাশাপাশি আজ 37 তম যুব দিবস|আমার বাড়িতেও স্বামীজীর জন্মদিন পালিত হয়, এবছর ও হবে তবে মহামারীর প্রভাবে জনসমাগম হওয়ার সুযোগ নেই|তাই প্রথমেই আপনাদের আমার ও আমার পরিবারের তরফ থেকে স্বামীজীর জন্মদিন ও যুব দিবসের অসংখ্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|
রবীন্দ্রনাথ তাই যথার্থই বলেছেন, ভারত কে জানতে হলে বিবেকানন্দ পড়তে হবে, সব থেকে বড়ো কথা তার মধ্যে নীতিবাচক কিছু নেই, নেগেটিভ কিছু নেই, পুরোটাই ইতিবাচক, পসিটিভ আর এই শক্তি আমাদের আজও পথ দেখায়…
তিনি বীর সন্যাসী, তিনি যুগ নায়ক, আমার মতে তিনি আজকের আধুনিক ভারতের রূপকার, তিনিই ভারতের অন্তর আত্মা কে নিজের অন্তরে উপলব্ধি করেছিলেন, হয়ে উঠেছিলেন ভারতের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ|তাই সেকালে বিপ্লবীদের সাথে থাকতো গীতা এবং বিবেকানন্দর লেখা|
ঠাকুর বলতেন নরেন শিক্ষা দেবে, তাই করেছিলেন নরেন, হয়ে উঠেছিলেন বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ|সনাতন ধর্মকে তিনি জগৎ সভার শ্রেষ্ঠ আসনে বসিয়েছিলেন, শিখিয়েছিলেন কিভাবে মাথা উঁচু করে মানুষের মতো বাঁচতে হয়, কিভাবে নিজের সর্বস্ব দিয়ে শিব জ্ঞানে জীব সেবা করতে হয়|
স্বামীজী তার অনুগামী দের বলতেন তোরা খাটতে খাটতে মরে যা, অর্থাৎ তার কাছে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প ছিলোনা, নিজের জীবন দিয়ে স্বামীজী দেখিয়ে ছিলেন কিভাবে একটা আদর্শ কে সামনে রেখে লড়াই করতে হয়|কিভবে নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করতে হয়|
স্বামী বিবেকানন্দই প্রথম গর্ব করে বলে ছিলেন আগামী পৃথিবীতে ভারত একটি শক্তি শালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে, আজ তার সেই স্বপ্ন বাস্তিবায়িত হতে আর কত দেরি তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে কিন্তু তার শ্রেষ্টত্ব ও দূরদর্শিতা নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই|জন্মদিনে বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দকে আমার শত কোটি প্রনাম ও শ্রদ্ধা জানাই|বিবকানন্দ পরুন,তাকে জানুন|ভালো থাকুন|নমস্কার