বড়দিনের শুভেচ্ছা

278

আজ বড়দিন|বড়দিন আর শুধু ক্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই তা এক আন্তর্জাতিক কার্নিভালে পরিণত হয়েছে|আমরাও সেই শৈশব থেকেই দিন টা নিজেদের মতো পালন করে আসছি, শীতের আমেজ মেখে কেকের স্বাদ নেয়া থেকে,গির্জায় গিয়ে মোমবাতি জ্বালানো এবং প্রভু যীশুর কাছে প্রার্থনা জানানো সবই আমরা করে থাকি নিষ্ঠার সঙ্গে|এক্ষেত্রে একজন মহান আধ্যাত্মিক ব্যাক্তিত্ত্বের কথা না বললে নয়, তিনি প্রেমের ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব|হ্যাঁ যত মত ততো পথ তিনি শুধু মুখে বলেন নি নিজের জীবন দিয়ে তা উপলব্ধি করেছেন|তিনি বোধ হয় একমাত্র এবং প্রথম হিন্দু সাধক যিনি ক্রিস্টান মতে গির্জায় গিয়ে প্রভু যীশুর কাছে নিজেকে সপেঁ দেন কিছুদিনের জন্যে, সাধনা করেন ভাব বিভোর হয়ে|

আমাদের দেশ ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ আর এ শুধু কথার কথা নয়, প্রতিটি ধর্ম ও জাতীর সমান অধিকার আমাদের দেশে স্বীকৃত স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব আমরা পালন করি মহা সমারোহে বা বলা ভালো প্রবল উৎসাহ নিয়ে আমরা অংশ গ্রহন করি একে অন্যের উৎসবে|ভাগ করে নিই আনন্দ|ঈদ এবং দূর্গা পূজার পাশাপাশি বড়দিন ও তাই আমাদের কাছে বড়ো উৎসব|সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় এই মহান উৎসব, আর উৎসব প্রিয় বাঙালির বড়ো  প্ৰিয়, বড়ো কাছের এই বড়দিন|

এখানে বলে রাখি যে যদিও আমরা ভাবি এই দিনে বেথেলহেম নগরের এক গো-শালায় কুমারী মা মেরির কোলে জন্মেছিলেন মানব ত্রাতা যীশু কিন্তু  
বাইবেলে নিদ্দিষ্ট করে  যীশুর কোনও জন্মতারিখ দেওয়া নেই|প্রকৃত পক্ষে তার জন্মের বহু আগে থেকেই পালিত হতো বড়দিন পরবর্তীতে পোপ জুলিয়াস এই দিনটিকে যীশুর জন্মদিন হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন|

আজও আমরা এই বিশেষ দিনে ভিড় জমাই পার্কস্ট্রিটে ব্যান্ডেলে, আনন্দ করি, প্রার্থনা করি নিজের মতো করে|আগামী বছরকে স্বাগত জানানো এবং অপূর্ন স্বপ্ন গুলো পূর্ণ হওয়ার জন্যে নতুন বছরের অপেক্ষা এবং প্রার্থনা বোধ হয় শুরু হয় এই দিন থেকেই|আপনাদের সবাইকে আমার ও আমার পরিবারের তরফ থেকে বড়ো দিনের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন |ভালো থাকুন|নমস্কার|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here