শ্রী অনিকেত
আগামী ২২ এ আগস্ট কৌশিকী অমাবস্যা তিথি রয়েছে।তন্ত্রর জগতে সব অমাবস্যা তিথিই বিশেষ কিন্তু কৌশিকী অমাবস্যাকে সর্ব শ্রেষ্ঠ তিথি বললে কম বলা হয়না কারন এটা মা তারার আবির্ভাব তিথি।
তন্ত্রশাস্ত্রে বলা হয় কৌশিকী অমাবস্যা সাধকের সিদ্ধি লাভের জন্য সব থেকে প্রশস্ত তিথি।
বহু সাধক মনে করেন এই মহা যোগে দ্বারকা নদীতে স্নান করলে জীবনের সব পাপ থেকে মুক্ত হওয়া যায়|শুধু তাই নয় তন্ত্র মতে করা যেকোনো কাজ এই তিথিতে সর্বাধিক সাফল্য লাভ করে। তাই যুগে যুগে আমাদের মতো জ্যোতিষী বা তন্ত্র সাধকরা মানব কল্যাণ এবং জগৎ কল্যানের জন্য এই তিথিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন।
কিন্তু কেনো এই তিথি তন্ত্র সাধনার জন্য এতো গুরুত্বপূর্ণ তিথি এবং কি বা এই এই তন্ত্র সাধনার পথ আসুন জেনে নিই সহজ ভাবে।
তন্ত্রে অর্থাৎ তন্ত্র সাধনায় ভোগসাধন বস্তুগুলির সঙ্গে সাধনা সংমিশ্রিত হলে তন্ত্র ক্রিয়ার দ্বারা সাধকের ভোগবাসনা ক্রমশ নিবৃত্ত হতে থাকে।
ভোগের মধ্য দিয়ে যোগপথে উন্নীত হওয়া,পঞ্চ ‘ম’-কার সাধনার উদ্দেশ্য বা বলা যায় প্রবৃত্তির পথ দিয়ে নিবৃত্তিতে পৌছানো।
তন্ত্র সাধনায় সাধক যখন ওই নিবৃত্তির পথে দিব্যভাবে উপনীত হন তখন তাঁর মোক্ষলাভ হয়ে থাকে। অলৌকিক অভিজ্ঞতা হতে পারে এবং দিব্য জ্ঞান লাভ বা শিক্ষা গ্রহণ করে সাধক সিদ্ধপুরুষ হয়। আবার এই জ্ঞান মা ক্ষমতা বিশেষ কাজে বা জগৎ কল্যানেও ব্যাবহিত হতে পারে তাই মানব জীবনের যেকোনো সমস্যা সমাধান সম্ভব এই বিশেষ তিথিতে।তাই যেকোনো তন্ত্র ক্রিয়া এই তিথিতে সব চেয়ে ভালো ভাবে সম্পন্ন হয়।
দেবী কৌশিকী সাধনায় সন্তুষ্ট হলে তার কৃপায় সব বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। তার আবির্ভাব তিথিতে তাকে সন্তুষ্ট করা সব থেকে সহজ। এই তিথিতে স্বর্গ এবং মর্তের দ্বার উন্মুক্ত হয় তাই সাধক যোগ বলে অসাধ্য সাধন করতে পারেন।
আপনারাও পারেন এই তিথিকে প্রয়োগ করে জীবনের যাবতীয় অসাধ্য সাধন করতে।
এবছর কৌশিকী অমাবস্যায় আমি থাকছি তারাপীঠে হোম যজ্ঞর আয়োজন থাকছে আপনাদের জন্য।আগ্রহীরা আসুন। আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ জানাই। ভালো থাকুন। জয় তারা।জয় বাম দেব।