তন্ত্র জগতের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এই প্রকৃতির এবং প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের,তন্ত্রের প্রধান একটি সিদ্ধান্তই হল এই যে প্রাকৃতিক শক্তিকে চৈতন্যময়ী মনে করা। আরো বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, চৈতন্যময়ী প্রকৃতিকে তুষ্ঠ করাই সাধকের প্রধান উদ্দেশ্যে,তার এই সাধনায় জীবন আনন্দময় ও কল্যাণময় হয়ে ওঠে।
সহজ করে বলতে গেলে তন্ত্র হচ্ছে দর্শন বা তত্ত্ব আবার এক ধরণের পূজা পদ্ধতি|এক্ষেত্রে পূজার উপচার বা উপকরণ তন্ত্র সাধকরা তাদের নিজস্ব পরিবেশ থেকেই সংগ্রহ করেছিল|
প্রকৃত সাধনা তন্ত্র প্রাকৃতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না। তার কারণ, তন্ত্র প্রাকৃতিক শক্তিকে চৈতন্যময়ী জেনেছে, মা বলে জেনেছে,তন্ত্রের প্রধান উদ্দেশ্য প্রকৃতির অসীম শক্তিকে শুভ কাজে ব্যবহার করা ও নানাবিধ সমস্যার সমাধান করা|
সাধারন পূজা প্রক্রিয়া এবং তান্ত্রিক উপাচারেও দেখা যায় প্রাকৃতিক উপকরনের প্রাধান্য, আপত চাল, তিল, জল, দুধ, কুশাগ্র, দই, যব, শ্বেতসরিষা, চন্দন, বিল্বপত্র বা বেলপাতা, কচু, হরিদ্রা, জয়ন্তী, ডালিম, বেল, অশোক, মানকচু, ধান, কলাগাছ, গম, মাষকলাই, তিসি ইত্যাদি পুজোর উপকরন হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে|
আদি অকৃত্রিম প্রাকৃতিক পরিবেশও তন্ত্র তন্ত্র সাধনাকে প্রভাবিত করে তাই হয়তো যুগ যুগ ধরে তন্ত্র সাধক রা তাদের সাধনার স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে অরণ্য এবং পাহাড়ের গুহা কে|
আমি নিজেও বহুবার তারাপীঠে তন্ত্র সংক্রান্ত কাজে বসে প্রকৃতির শক্তিকে অনুভব করেছি, আগামী দিনে হয়তো আরো অনেকে অভিজ্ঞতা হবে|যাই হোক প্রকৃতির আশীর্বাদ নিয়ে তন্ত্রকে ব্যাবহার করে মানুষের জীবনের সমস্যা সমাধান করতে পারলেই নিজেকে ধন্য মনে করি|প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন|ভালো থাকুন|নমস্কার|