শ্রী অনিকেত
আজ প্রভু জগন্নাথের রথ যাত্রা। জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম রথে চড়ে গুণ্ডিচার বাড়ি যান। সেটি জগন্নাথের ‘মাসির বাড়ি’নামে পরিচিত। সাত দিন সেখানে থাকার পর আবার নিজের মন্দিরে ফিরে আসেন। রথে চড়ে এই মাসির বাড়ি যাওয়াকে সোজা রথ মাসির বাড়ি থেকে ফিরে আসা উল্টোরথ নামে প্রচলিত।মালবরাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর পরম ভক্ত তার মাধ্যমেই জগন্নাথ মন্দির এ জগতের নাথের প্রতিষ্ঠা ও পুরীর রথ যাত্রার সূচনা হয়েছিল|
আজও সব প্রাচীন পরম্পরা বজায় আছে|প্রতি বছর রথযাত্রার উদ্বোধন করেন পুরীর রাজা। এই রথের দিন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাদেবীর পর পর তিনটি রথের সামনে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন এবং সোনার ঝাড়ু ও সুগন্ধী জল দিয়ে রথের সামনের অংশ ঝাঁট দেন। তারপরই পুরীর রথের রশিতে টান পড়ে। শুরু হয় জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি যাওয়ার যাত্রা।
জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ। বলরামের রথের নাম তালধ্বজ। সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন। রথের দিন প্রতিটি রথকে পঞ্চাশ গজ দড়িতে বেঁধে আলাদা আলাদা ভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় গুণ্ডিচাবাড়ি।
এই রথ নির্মাণের রয়েছে নিজস্ব রীতি|এই তিনটি রথ কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। সেই কাঠ সংগ্রহ করা হয় মাঘ মাসের বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে। আর সেই কাঠগুলি নির্দিষ্ট পরিমাণে কাটা শুরু হয় রামনবমী তিথি থেকে। রথের নির্মাণ শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়ার তিথি থেকে। যদিও রথগুলিতে অন্য কোনও ধাতু ব্যবহার করা হয় না। রথের পেরেকও তৈরি হয় কাঠ দিয়ে।কোনওরকম আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়াই রথ নির্মাণ করা হয় রথ।
শাস্ত্রে উল্লেখ আছে রথে আসীন জগন্নাথ দেবের দিব্য দর্শন লাভ করলে আত্মার মুক্তি লাভ হয় এবং পুনর্জন্ম হয়না|যেকোনো শুভ কাজের সূচনার জন্যে রথ যাত্রা ভালো দিন|আপনাদের সবাইকে রথযাত্রার শুভেচ্ছা জানাই।
জয় জগন্নাথ।