শ্রী অনিকেত
বছরের অন্যান্য অমাবস্যার চেয়ে
ফল হারিণী অমাবস্যা একটু আলাদা।একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারন শাস্ত্রে আছে এইদিন স্বয়ং দেবী ভক্তের মনস্কামনা পূরণ করার জন্য ধরাধামে অবতীর্ণ হন।ভক্তি ভরে তাকে ডাকলে তিনি
ভক্তের খারাপ কর্ম ফল হরণ করে তাকে পুন্য প্রদান করেন এবং তার যাবতীয় দুঃখ কষ্ট দূর হয়।
তাই জ্যোতিষ এবং তন্ত্র শাস্ত্রে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।
ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ এবং মা সারদা দক্ষিনেশ্বরে অবস্থান কালে মা সারদাকে ষোড়শীরূপে পুজো করেছিলেন এই তিথিতে। সেই সংকীর্ণতার যুগে এই ঘটনা ছিলো নানা দিক দিয়ে এক ঐতিহাসিক এবং ব্যাতিক্রমী কারন তিনি নিজের স্ত্রীর মধ্যে আদ্যা শক্তি মহা মায়াকে খুঁজে পেয়ে ছিলেন।সেই তিথিকে স্মরন করে প্রতি ফল হারিণী অমাবস্যায় দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে আজও বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়।
শুধু দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দির নয়। দেশের প্রায় প্রত্যেক শক্তি পিঠে সিদ্ধ পিঠ কালী মন্দিরে আগামী ২৬ এ মে ফল হারিণী অমাবস্যা উপলক্ষে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হবে।
তন্ত্র মতে প্রতিকার বা শাস্ত্র মতে গ্রহ শান্তি সব
দিক দিয়েই এই তিথি শ্রেষ্ঠ। কারন অশুভ গ্রহ আমাদের কষ্ট দেয় কর্ম ফলের জন্য সেই কর্ম ফল থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই তিথিতে। আমি নিজেও প্রতি বারের ন্যায় এই বারেও তারাপীঠে অসংখ্য মানুষের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকবো।
বিশেষ পুজো হোম যজ্ঞ এবং আহুতির মাধ্যমে আদ্যা শক্তির সাধনা মানব কল্যান এবং জগৎ কল্যাণ সাধন করবেই।
ভালো থাকুন সবাই। সবাইকে জানাই ফল হারিণী কালী পুজোর অগ্রিম শুভেচ্ছা। জয় মা তারা।