শ্রী অনিকেত
সময় সব বদলে দেয়। কালের নিয়মে একটা সাম্রাজ্যর পতন হয় আরেকটা সাম্রাজ্য
গড়ে ওঠে। যেটা থেকে যায় তা শ্রমজীবী মানুষের শ্রম। প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্য হোক বা ইজিপসিয়ান অথবা ভারতের প্রাচীন স্থাপত্য। সবই শ্রমজীবিদের অবদান। আজ সেই শ্রমকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন।
আজ শ্রম দিবস।
আমেরিকার মাটিতেই শুরু হয়ে ছিলো সেই শ্রমিক আন্দোলন যার ফল স্বরূপ আজ পালিত হয় শ্রম দিবস।মূলত দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ ন্যাহ্য পারিশ্রমিক
এবং শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের দাবিতে পথে নেমেছিলেন হাজার হাজার শ্রমিক।
স্বাভাবিক নিয়মেই এই আন্দোলন মেনে নেয়নি শাসক শ্রেণী। তারা আন্দোল দমন করতে গুলিও চালায়। প্রাণ ও যায় বহু শ্রমিকের।
আন্দোল সাময়িক ভাবে দমন করা গেলেও
শ্রমিক স্বার্থ পূরণের দাবিতে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৮৯০ সালে ফ্রান্সে একটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ঠিক হয় যে দেশে দেশে পালিত হবে মে দিবস। ১৯১৭ সালে রশিয়ায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহ সূচনা হয় শ্রম দিবস পালন। ছড়িয়ে পরে গোটা বিশ্বে।
এই শ্রম দিবস বা মে দিবসে সরকারি ছুটি থাকে বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে।যদিও আমেরিকা ও কানাডা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার লেবার ডে বা শ্রম দিবস পালন করে।ভারতে প্রথম মে দিবস পালিত হয়েছিল ১ মে, ১৯২৩ সালে। যদিও তা মূলত সীমাবদ্ধ ছিলো দক্ষিণ ভারতে। পরবর্তীতে সারা দেশেই মে দিবস মানে ছুটির দিন। শ্রমিকের দিন। শ্রমকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন।
শ্রদ্ধা এবং প্রণাম জানাই বিশ্বের সব শ্রমিককে।
শুভ মে দিবস। শ্রমিক ঐক্য জিন্দাবাদ।