শুভ হনুমান জয়ন্তী

10

শ্রী অনিকেত

আজ হনুমান জয়ন্তী অর্থাৎ রূদ্র অবতার হনুমানের আবির্ভাব তিথি|সনাতন ধর্মের মানুষদের কাছে এই দিনটির গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম।

আমাদের শাস্ত্রে যতজন বীর যোদ্ধার কথায় উল্লেখ আছে তাদের মধ্যে হনুমান শ্রেষ্ঠ।

তুলসী দাস রচিত হনুমান চালিশায় বলা আছে ” অষ্ঠসিদ্ধি নবনিধি কে দাতা। অস বর দীন জানকী মাতা”। অর্থাৎ তিনি অষ্ট সিদ্ধি এবং নব নিধির অধিকারী। এই অষ্ট সিদ্ধি বা আটটি বিদ্যা হলোযথাক্রমে – অনীমা, মহীমা, লঘিমা, গরিমা, প্রাপ্তি, প্রাকাম্য, ঈশিত্ব ও বশিত্ব।

এই আটটি গুনের অধিকারী হয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অসীম জ্ঞান ও শক্তির আধার এবং অপরাজেয়। তার বিরাট দেহ ধারন। সুক্ষ দেহে বিচরণ। আবার পাহাড় সম ভারী হয়ে ওঠা বা এক লাফে সুমুদ্র পেরিয়ে যাওয়া এবং পর্বত তুলে নিয়ে আসা সবই এই অষ্ট সিদ্ধির প্রয়োগের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।

আবার নব কথার অর্থ হল নয় এবং নিধি কথার অর্থ হল ধন অর্থাৎ সম্পত্তি।হনুমানজি নব নিধির অধিকারী এবং দাতা।নব নিধির মধ্যে পদ্ম নিধি,মহাপদ্ম নিধি নীল নিধি মুকুন্দ নিধি বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য।এসবই অপার্থিব অতুল সম্পদ, যদি কেউ এই সম্পদের একটির ও অধিকারী হয় তার জীবন ধন্য।

তবে বজরংবলীর শ্রেষ্ঠত্ত্ব অন্য জায়গায়।এতো ক্ষমতা এতো গুন থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজের জন্য কিছু করেননি বা চান নি। তিনি শ্রী রামের চরণ ছাড়া আর কিছুতে আগ্রহী নন আর এখানেই তিনি আলাদা।তিনি অনন্য।

আজকের দিনে প্রণাম জানাই মহাবীর এবং
শ্রেষ্ঠ নুমানকে|শুভেচ্ছা রইলো হনুমান জয়ন্তীর|জয় বজরংবলী। জয় হনুমান।