শ্রী অনিকেত
একমাত্র বাঙালিরাই বোধহয় যথার্থ অর্থে নিজ মাতৃভাষাকে মায়ের মর্যাদা দিয়েছে। তাই মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে শহীদ হতেও ভয় পায়নি বাঙালি জাতী
স্বাধীনতার ঠিক পরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও সমাজকর্মীরা, এবং সাধারণ মানুষ পাকিস্তান সরকারের ভাষা নীতির বিরোধিতা করেন। নিজেদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করতে পথে নামেন তাঁরা। প্রতিবাদীদের দাবি ছিল, উর্দু নয় বাংলা ভাষাকে সেদেশের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার ভাষার স্বীকৃতি দিতে হবে। পাকিস্তানের পুলিশ গুলি চালালে প্রান যায় কয়েকজন আন্দোলন কারীর তবুও প্রতিবাদ থামানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত সরকারকে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দিতে বাধ্য হতে হয়।সত্যি বলতে ভাষার জন্য প্রাণ দেয়া বা ভাষা কে কেন্দ্র করে একটা রাষ্ট্র গঠন আর কোথাও সেই ভাবে হয়নি।
আজ ঐতিহাসিক একুশে ফেব্রুয়ারী।
আজ আমরা সবাই আমাদের নিজের নিজের মাতৃভাষা কে শ্রদ্ধা জানাই নিজের মতো করে।
আজ একজন বাঙালি হিসেবে এটা ভেবে গর্ব হয় যে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় তিরিশ কোটি মানুষ বাংলা ব্যবহার করেন।এবং ভাষা আন্দোলনের শহীদদের সন্মান জানিয়ে প্রায় গোটা বিশ্ব আজ আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস পালন করে|
সবাইকে জানাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। মাতৃভাষাকে ভালো
বাসুন। নিজের মাতৃভাষাকে নিয়ে গর্ব করুন।