বাংলার তীর্থ – উত্তরবঙ্গের জটেশ্বর শিব মন্দির

224

শীতের আমেজ উপভোগ করতে শুরু করেছি আমরা, এই শীতেকাল মানেই বেড়ানোর, মেলা আর অবশ্যই বন ভোজন, অনেকেই আবার এই সময়ে তীর্থ করতে পছন্দ করেন, আজ একটি শৈব তীর্থের কথা লিখবো,উত্তর বঙ্গের আলিপুরদুয়ারে অবস্থিত জটেশ্বর শিব মন্দির নিয়ে আজকের বাংলার তীর্থ|

প্রথমেই এক অলৌকিক ঘটনা আপনাদের শোনাই
শোনা যায়, একবার মন্দির সংলগ্ন কাঠালবাড়ি গ্রামের গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করেন জঙ্গলের ভিতর একটি দুগ্ধবতী গাভীর বাঁট থেকে অনবরত দুধ পড়ে যাচ্ছে, কৌতুহলী গ্রামবাসী খানিকটা এগিয়ে গিয়ে এক অলৌকিক দৃশ্য দেখলেন,মাটি ভেদ করে একটি পাথর উঠে আছে, এবং সেই পাথরেই গাভীর দুধ অনবরত পড়ে চলেছে|লোক মুখে এই অলৌকিক ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো সর্বত্র|শুরু হয় এই মন্দির নির্মাণের প্রচেষ্টা|ওই স্থান থেকে অবশ্য শিব লিঙ্গ সরানো যায়নি তাই ওখানেই তৈরি হয় মন্দির|

পুজোর সূচনা প্রসঙ্গে আরো একটি অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ করা যায়|কোনো এক সময়ে হঠাত্‍ করে এক উলঙ্গ সাধুর আবির্ভাব ঘটলো, ওই স্থানে তাকে সবাই ‘ কাথেয়া বাবা’ বলে ডাকতো, উনি দীর্ঘদিন পুজো দিয়েছিলন তারপর একদিন তিনিও কাউকে কিছু না বলে কোথায় চলে গেলেন|এরপর একদিন মিথিলা থেকে এক পুরোহিত এলেন, তিনি এসে স্থানীয়দের জানালেন তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন এখানে আসার জন্য এবং এই স্থানে তিনি এসে তিনি স্বপ্নাদেশ অনুসারে পুজোর সূচনা করেন|

জটেশ্বর শিব মন্দিরের বয়স আনুমানিক প্রায় দুশো বছর, এই দীর্ঘ সময়ে একাধিকবার মন্দিরের সংস্কার হয়েছে তবে জটেশ্বর শিব কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল ও ভক্তি রয়েছে একই রকম|
আজ বিদায় নিলাম, শিগ্রই আসছি কলকাতা চেম্বারে আগামী 11 তারিখ|জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে  উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ করুন|ভালো থাকুন|নমস্কার|