জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত
আজ রাস পূর্ণিমা। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, এই দিন বৃন্দাবনের গোপিনী দের উপস্থিতিতে রাধার সঙ্গে রাস উৎসবে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। গোপিনীদের নাচ ও শ্রীকৃষ্ণের সুমধুর বংশীধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছিল বৃন্দাবনের পবিত্রভূমি।
রাস পূর্ণিমা প্রধান বৈষ্ণব উৎসব গুলির মধ্যে অন্যতম|শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, কেউ যদি তাঁকে জানতে চায়, তবে তাঁকে অবশ্যই ভক্তির আশ্রয়ে থাকতে হবে। এই দিনে তাই বৈষ্ণব ভক্তরা তাঁদের ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় মেতে ওঠেন রাসলীলায়।পরবর্তীকালে শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণের এই মিলন উৎসবকে শ্রীচৈতন্যদেব নাম-সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে রাস মহোৎসবে পরিণত করেন।
শ্রীবিষ্ণু ও শিব ভক্তরাও এদিন মন্দিরে গিয়ে তাঁদের উপাস্য দেবতার পুজো করে থাকেন। পুণ্য অর্জনের জন্য সকাল সকাল নদীতে স্নান করেন। মন্দিরে বাতি বা প্রদীপ জ্বালান, দুঃস্থদের দান-ধ্যান করেন।
এইদিন স্বয়ং ঈশ্বর মর্ত্যে নেমে আসেন গঙ্গা স্নান করতে। তাই এইদিন আলোর মালায় সেজে ওঠা গঙ্গার ঘাট। স্নানকরে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজার্চনা করেন ভক্তরা।
আজ প্রাণ ভরে শ্রী কৃষ্ণকে ডাকুন। রাধা কৃষ্ণ বিগ্রহকে প্রনাম করে নিজের মনোস্কামনা জানান আপনার মনোস্কামনা পূর্ণ হবে। জয় শ্রী কৃষ্ণ। রাধে রাধে।