শ্রী অনিকেত
চলছে জগদ্ধাত্রী দেবীর আরাধনা। এই পুন্য তিথিতে প্রথমেই আপনাদের জানাই জগদ্ধাত্রী পুজোর অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস তার স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে বলেছিলেন “মন করীকে যে বশ করতে পারে তারই হৃদয়ে জগদ্ধাত্রী উদয় হন। সিংহবাহিনীর সিংহ তাই হাতিকে জব্দ করে রেখেছে।”
জগদ্ধাত্রী শব্দের আভিধানিক অর্থ জগৎ বা ত্রিভুবনের ধাত্রী বা ধারণকর্ত্রী, পালিকা|তিনি দেবী আদ্যাশক্তির একটি রূপ|তিনি সিংহ বাহিনী ও তার পদতলে হস্তী মুন্ড|
জগদ্ধাত্রী দেবীর মূর্তিতত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্বামী নির্মলানন্দ বলেছেন, “অর্ক বা সূর্যই বিশ্বের পোষণকর্তা। পৃথিব্যাদি আবর্তনশীল গ্রহ-উপগ্রহদিগকে সূর্যই নিজের দিকে আকর্ষণ করে রেখেছেন। দেবী জগদ্ধাত্রীর মধ্যেও ধারণী ও পোষণী শক্তির পরিচয় বিদ্যমান। তাই তাঁকে বলা হয়েছে বালার্কসদৃশীতনু। একই কারণে জগৎপালক বিষ্ণুর শঙ্খ চক্র শার্ঙ্গধনু আদি আয়ুধ দেবীর শ্রীকরে| দেবীর রক্তবস্ত্র ও রক্তবর্ণের মধ্যে, দেবীর সিংহাসনস্থ রক্তকমলে সেই রজোগুণেরই ছড়াছড়ি। রজোদীপ্ত বলেই জগদ্ধাত্রী মহাশক্তিময়ী। তাঁর অস্ত্রশস্ত্র, তাঁর বাহন সকলই তাঁর শক্তিমত্তার ভাবটি আমাদের অন্তরে উদ্দীপ্ত করে দেয়।”
সবাই ভালো থাকুন। শাস্ত্র মতে জগদ্ধাত্রী
পুজোয় অংশগ্রহন করুন।শুভ জগদ্ধাত্রী পুজো।
জয় মা জগদ্ধাত্রী।