গণেশচতুর্থীর শুভেচ্ছা

102

জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত


একটা সময় পর্যন্ত বাঙালির উৎসব মানেই ছিলো মুলত দূর্গা এবং কালী পুজো তবে বর্তমান সময়ে বাঙালির পুজো পার্বন আর কালী পুজো এবং দূর্গা পূজোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এখন বাঙালি হনুমান জয়ন্তীতে যেমন বজরংবলীর পুজো করে তেমনই আবার গণেশ চতুর্থীতে ঘটা করে গণেশ
পুজোও হয়।

আজকের এই গণেশ চতুর্থী তিথি মূলত সিদ্ধি দাতা গণেশের জন্ম তিথি|ভাদ্র মাসের শুক্লা পক্ষের এই চতুর্থী তিথিতে শিব পার্বতীর পুত্র রূপে অবতীর্ন হয়েছিলেন গণেশ|

বাস্তু শাস্ত্র ও জ্যোতিষ শাস্ত্রে গনেশের গুরুত্ব অপরিসীম কারন সঠিক পদ্ধতিতে তার পুজো করলে বদলায় ভাগ্য|বাড়িতে গণেশ পূজা করলে সেখানে সুখ, শান্তি যেমন বজায় থাকে, তেমনই প্রবেশ করতে পারে না বিপদও। এছাড়াও যে কোনও পুজোর আগে গণেশ পুজো করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

আমাদের বাস্তু শাস্ত্র মতে গণেশ ব্রহ্মস্থানে বা পূর্ব অথবা উত্তর-পূর্ব কোণে রাখুন। বাড়ির দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে গণেশ মূর্তি রাখবেন না।শিব পার্বতী সহ শিশু গণেশ মূর্তি রাখাও বিশেষ ভাবে শুভ|জ্যোতিষ শাস্ত্রেও গণেশের আলাদা গুরুত্ব আছে যাদের কেতু অশুভ তারা গণেশ আরাধনা করলে সমস্যা রোধ করতে পারেন। আবার গণেশ যন্ত্র স্থাপন আর্থিক সমস্যায় একটি প্রাচীন প্রতিকার।গণেশ রুদ্রাক্ষও আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।


আজ প্রাণ ভরে গণেশকে ডাকুন।বিঘ্নহর্তার আশীর্বাদে সব বিঘ্ন নাশ হয়ে শুভ সময় আসবেই।
সবাইকে জানাই গণেশ চতুর্থীর অনেক শুভেচ্ছা।