শ্রী অনিকেত
জ্যোতিষ জগতে কৌশিকী অমাবস্যকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তিথি বা ইভেন্ট বললেও হয়। আগামী
মাসের একদম শুরুতেই সেই বহু প্রতিক্ষিত কৌশিকী অমাবস্যা।কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে আপনাদের জানাবো কেনো এই তিথি এতো গুরুত্বপূর্ণ। কেনই বা এই রাত কে বলা হয় তারা রাত্রি আর কি বা জ্যোতিষ শাস্ত্রের সাথে কৌশিকী অমাবস্যার সম্পর্ক।
বিষয়টি বিস্তৃত এবং জটিল তাই সহজ ভাবে কয়েকটি পর্বে লিখবো। সবার আগে আজ আসুন জেনে নিই কে দেবী কৌশিকী এবং দেবী কৌশিকী সম্পর্কে কোন পুরানে কি বলা আছে।
দেবী ভাগবত পুরাণের শুরুতে দেবী
‘কৌশিকী’ উল্লেখিত হয়েছেন|দেবী ভাগবত পুরাণ দেবী কৌশিকীকে দেবী পার্বতীর দেহ থেকে নির্গত শক্তি হিসাবে বর্ণনা করেছে এবং তার মহিমা বর্ণিত আছে|
শিব পুরান অনুসারে শিব দেবী পার্বতীকে তার কালো ত্বকের জন্য উপহাস করার পরে, তিনি গৌর বর্ণ পাওয়ার জন্য তার তপস্যা শুরু করেন।তিনি শেষ পর্যন্ত তার কালো চামড়া ঝেড়ে ফেলেন এবং যেখান থেকে তিনি দেবী কৌশিকী আবির্ভূতা হন|
স্কন্দপুরাণের দেবীমাহাত্ম্যম অনুসারে দেবী কৌশিকী দেবী পার্বতীর দেহের আবরণ বা দেহকোশ থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন সুম্ভ ও নিসুম্ভ রাক্ষসকে হত্যা করার জন্য।
শাস্ত্র মতে দেবী কৌশিকী অশুভ শক্তি শুভ
শক্তির জয় লাভের প্রতীক। তিনি অশুভ শক্তিকে নাশ করেন এবং তার আশীর্বাদে
প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার হয়।
আগামী পর্বে কৌশিকী অমাবস্যা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আবার ফিরে আসবো।
ভালো থাকুন।সঙ্গে থাকুন।