ভারত মাতার জয়

23

শ্রী অনিকেত

আজ ভারতের স্বাধীনতা দিবস। আজ ভারত মাতার পুজোর দিন। তবে এই দিন মা সারদার কথাও বিশেষ ভাবে প্রাসঙ্গিক কারন স্বাধীনতা সংগ্রামেও মা সারদার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিলো।

এই প্রসঙ্গে সিস্টার নিবেদিতা লেখা থেকে জানা যায় ‘সকল মহান জাতীয়তাবাদীই শ্রীশ্রী মার চরণ স্পর্শ করে যেতেন। স্বামী সারদানন্দ কাউকে ফিরিয়ে দিতেন না। যদিও তিনি জানতেন এটা খুবই ঝুঁকির কাজ হয়ে যাচ্ছে’।

১৯০৯ সালের ২২ জুলাই মিস ম্যাকলাউডকে নিবেদিতা লিখছেন, ‘সব দলগুলিই ঐক্যবদ্ধ হইয়া বলিতেছে, রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের নিকট হইতে নূতন প্রেরণা আসিতেছে। কারাগার হইতে মুক্তিলাভ করিয়া দলে দলে সকলে শ্রী মাকে প্রণাম করিয়া যাইতেছে’। আর সারদামণি সেই সন্তানদের নিয়ে গর্ব করে বলছেন, ‘‘কী সাহস! এমন সাহস কেবল ঠাকুর আর নরেনই আনতে পারে। দোষ যদি কারও হয়, সে তো তাদেরই।’’

কিন্তু কেন বিপ্লবীরা ছুটে আসতেন সারদামণির কাছে এই প্রসঙ্গে বিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘোষ লিখেছেন, ‘ওই শান্ত সমাহিত নীরব জীবনের মধ্যেই রয়েছে অতিবিপ্লবের বীজ। রামকৃষ্ণ-সারদা-বিবেকানন্দ
এই ত্রয়ী এক মহাবিপ্লবের প্রতীক’।

আজ স্বাধীনতা দিবসে দেশ মাতৃকার পাশাপাশি এও মহান নারী শক্তিকে জানাই আমার প্রণাম। জয় মা। জয় হিন্দ।