বাইশে শ্রাবন

29

শ্রী অনিকেত

আজ সেই অভিশপ্ত বাইশে শ্রাবণ। এমনই এক বর্ষার দিনে মহাশূন্যে বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বুদ্ধদেব বসু তার একটি উপন্যাসে বাইশে শ্রাবণে রবি-প্রয়াণের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেছিল ‘আকস্মিকের মতো নতুন, অবিশ্বাস্যের মতো অসহ্য’।

মৃত্যু চেতনা তার লেখায় বার বার এসছে,
“আমার দিন ফুরালো ব্যাকুল বাদল সাঁঝে, গহন মেঘের নিবিড় ধারার মাঝে’। এই লেখা তার মৃত্যু ভাবনা কে প্রকাশ করে। আবার তিনি মৃত্যুকে বন্দনা করেছেন এভাবে- ‘মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান। 

বর্ষাকাল ছিল তাঁর প্রিয় ঋতু।সেই রিতুতেই এক বর্ষণ মুখরিত রাতে স্তব্ধ হয়েছিল গুরুদেবের কলম।সৃষ্টি হয়েছিলো এমন এক শুন্যতা যা পূরণ হবার নয়।

আমাদের রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এক ঈশ্বরবাদী এবং প্রকৃতির পূজারী যিনি মানব প্রেমকেই নিজের সাধনার প্রধান মাধ্যম বলে মনে করতেন|রবীন্দ্রনাথ উদার বিশ্বমানবিকতার কবি। বিশ্বমানব ও বিশ্বপ্রকৃতির প্রতি তাঁর অনুরাগ ছিল সংস্কারমুক্ত ও ভেদাভেদশূন্য। 

কোনো উগ্র জাতীয়তাবাদ বা সাময়িক ভাবে পথভ্রষ্ট উন্মত্ত জনতা রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে হয়তো আঘাত হানতে পার কিন্তু তার আদর্শ এবং সৃষ্টি অমর এবং অজেয়।


গুরুদেবের প্রয়ান দিবস|আমাদের প্রাণের  ঠাকুর রবি ঠাকুর কে আমার প্রনাম ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করলাম।