জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত
আমাদের জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশেষ করে তন্ত্রে যদিও দশ মহা বিদ্যা বা কালী সাধনার উপরেই বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয় তবুও তন্ত্রের জন্ম কিন্তু শিব থেকেই। তিনিই আদি অঘোরী এবং তিনিই আদি গুরু। এমনকি দশ মহা বিদ্যা রূপ ও সৃষ্টি হয় শিবের কারণে।তাই জ্যোতিষ এবং তন্ত্র শাস্ত্রে শিবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই শ্রাবন মাস আমাদের কাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রাবন মাসেই মহাদেব সমুদ্র মন্থন থেকে ওঠা বিষ পান করে নীলকণ্ঠ হয়ে ছিলেন আবার এই শ্রাবন মাসেই শিব পার্বতীর শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়ে ছিলো।জ্যোতিষ এবং বাস্তু শাস্ত্রতে শিবের গুরুত্ব অপরিসীম। শিবের মধ্যে রয়েছে অসীম এবং অন্তত শক্তি। তার কৃপায় দূর হতে পারে সব গ্রহগত সমস্যা।
দেবাদিদেব মহাদেব তার ভক্তদের উপর খুব অল্পেই প্রসন্ন হন। বলা হয় তিনি একটি বেলপাতা তেই তুষ্ট।সারাবছর শিবপুজো করা হলেও এই শ্রাবন মাসে মহাদেবকে নিষ্ঠাভরে ও নিয়ম মেনে পুজো করা প্রচলন রয়েছে।এই মাসে তাকে সব থেকে দ্রুত সন্তুষ্ট করা যায় এবং তিনি তার ভক্তদের ডাকে সারা দিয়ে তাদের মনোস্কামনা পূর্ণ করেন।
বিশেষ করে যারা শাস্ত্র মতে গ্রহের প্রতিকার চান বা যারা রুদ্রাক্ষ ধারণ করে অশুভ গ্রহ কে শান্ত করতে চান তারা উপযুক্ত জ্যোতিষ পরামর্শ নিয়ে শ্রাবন মাসেরসঠিক রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন। অদ্ভুত ফল পাবেন।শাস্ত্রে আছে শাস্ত্রে বলা হয়েছে জলাভিষেক করলে পূজার সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয় এছাড়াও এই সময়ে লাল চন্দন, রুদ্রাক্ষ, অপরাজিতা ধুতরার ফল, বেল পাতা, আকন্দ ফুল শিব লিঙ্গে অর্পণ করা যায়।
আবার নিয়মিত মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ এবং শিব পুরান পাঠ করলেও শিব কৃপা লাভ করা যায়।
যারা শিব যন্ত্র স্থাপন করতে চান তাদের জন্যও এই শ্রাবন মাস শ্রেষ্ঠ সময়ে।
শ্রাবন মাসকে শাস্ত্র সম্মত পদ্ধতিতে ব্যবহার করুন। দেবাদিদেব প্রসন্ন হবেন।দেবাদিদেব মহাদেব আপনাদের মনোস্কামনা পূর্ণ করুন।
ভালো থাকুন। হর হর মহাদেব।