শ্রী অনিকেত
আজ পবিত্র গুরু পূর্ণিমা পুরাণ মতে এই তিথিতেই গুরু হিসাবে শিষ্যদের মহাজ্ঞান প্রদান করেন দেবাদিদেব মহাদেব।তিনিই আদি গুরু|বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে বোধিজ্ঞান লাভের পর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় প্রথম সকলকে উপদেশ দেন গৌতম বুদ্ধ|অন্যদিকে ব্যাসদেবের জন্মজয়ন্তীও পালন করা হয় এই দিন। সেই কারণে এই বিশেষ দিনটিকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়|
সনাতন সংস্কৃতির অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব গুলির মধ্যে অন্যতম এই গুরু পূর্ণিমা বা ব্যাস পূর্ণিমা|
আমাদের শাস্ত্রে একটি প্রাচীন সংস্কৃত শ্লোক আছে
”গুরুব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণু গুরুর্দেবো মহেশ্বর
গুরুরেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ”
এই শ্লোকের অর্থ- জীবনে গুরুই ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। তিনিই আমাদের সৃষ্টি, স্থিতি, লয়ের পরম ব্রহ্মজ্ঞান দান করেন। সেই গুরুর উদ্দেশ্যে প্রণাম
জানাই|আজ এই প্রনাম জানানোর দিন|আজ গুরু শিষ্য পরম্পরা কে উদযাপন করার দিন|
গুরু শব্দের অর্থ, যিনি শিষ্যদের অন্ধকার বা অজ্ঞতা থেকে আলোর দিশা দেখান সেই ব্যক্তি|গুরু শিক্ষা গুরুও হতে পারেন আবার দীক্ষা গুরুও হতে পারেন এমনকি অভিভাবক ও হতে পারেন
প্রকৃত গুরু যেমন শিষ্যর মনের কথা বুঝতে পারেন তেমনই প্রকৃত শিষ্যর কাছে তার গুরুর কথাই বেদ বাক্য।সেখানে কোনো সংশয়ের স্থান নেই
সবদিক দিয়েই গুরু পূর্ণিমার আধ্যাত্বিক ও ধার্মিক তাৎপর্য অপরিসীম|আমার জ্যোতিষ ও শিক্ষা জগতের গুরুদের জানাই শ্রদ্ধা এবং আমার আধ্যাত্মিক গুরু ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব এবং স্বামী বিবেকানন্দকে জানাই শত কোটি প্রণাম। সবাইকে গুরু পূর্ণিমার অনেক শুভেচ্ছা।