শ্রী অনিকেত
আগামী ২২ এ জুন শুরু হচ্ছে এই বছরের অম্বুবাচি। তাৎপর্য পূর্ণ এই সময়ে প্রকৃতি এবং মাতৃ শক্তি মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। একদিকে বর্ষার আগমনে রজঃস্বলা হন ধরিত্রী অন্যদিকে ঋতুমতী হন মা কামাখ্যা। দুই সৃষ্টিশীলতার প্রতীক।
‘অম্বুবাচী’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল ‘অম্বু’ বা জল ‘বাচি ‘অর্থাৎ সূচনা।এই সময় থেকে প্রকৃতির নব সৃষ্টি কার্যর সূচনা হয়।তাই এই সময় নানা ভাবে তাৎপর্য পূর্ণ।
এই অম্বুবাচী, ‘অমাবতী’ বলেও পরিচিত। এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শাস্ত্রের নানা কাহিনী। বেদে পৃথিবীকে মা বলা হয়ে থাকে। এমনকি পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলে সম্বোধন করা হয়েছে।মনে করা হয়, আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের চতুর্থ পদে ঋতুমতী হন ধরিত্রী। পূর্ণ বয়স্কা ঋতুমতী নারীরাই কেবল সন্তান ধারণে সক্ষম হন। তাই অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন। নতুন করে প্রাণের
সঞ্চার হয়।
অম্বুবাচীর সময় দেবী পূজা বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন তন্ত্রের আরাধনা করা হয়|অসমের কামাক্ষ্যায় বিশেষ পুজো পালিত হয় অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে। এই তিনদিন সময়ের মধ্যে কামাক্ষ্যা থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত দেবীস্থানে দরজা বন্ধ থাকে। স্পর্শ করার নিয়ম থাকে না দেবীকে। শাস্ত্র মতে, সতীর গর্ভ ও যোনি পড়েছিল কামাক্ষ্যায়। সেই সময় থেকে এই জায়গা পবিত্র সতীপীঠ এবং অম্বুবাচি এখানে একটি উৎসবের আকার নেয় এবং মেলাও বসে যেখানে আসেন দেশ বিদেশের মাতৃ সাধক এবং সাধারণ জনগন।তারাপীঠ সহ বাংলার বিভিন্ন মাতৃ মন্দিরেও অম্বুবাচি পালন হয়।
অম্বুবাচী পরবর্তী মহা যোগে তারাপীঠে অম্বুবাচী উপলক্ষে এক মহা যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে|
তন্ত্র মতে শাস্ত্রীয় পদ্ধতিতে পুজো পাঠ, হোম যজ্ঞ এবং তন্ত্র মতে নানা সমস্যার সমাধান করা হবে। আমি নিজে উপস্থিত থাকবো। আপনাদের সবাইকে জানাই স্বাগত।