কার্তিক মাসের পূর্ণিমাই রাস পূর্ণিমা, অর্থাৎ আজ হলো রাস পূর্ণিমা। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, এই দিন বৃন্দাবনের গোপিনী দের উপস্থিতিতে রাধার সঙ্গে রাস উৎসবে মেতেছিলেন গোপশ্রেষ্ঠ শ্রীকৃষ্ণ। গোপিনীদের নাচ ও শ্রীকৃষ্ণের সুমধুর বংশীধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছিল বৃন্দাবনের পবিত্রভূমি।বিশ্বাস, এইদিন স্বয়ং ঈশ্বর মর্ত্যে নেমে আসেন গঙ্গা স্নান করতে। তাই এইদিন আলোর মালায় সেজে ওঠা গঙ্গার ঘাট। স্নানকরে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজার্চনা করেন ভক্তরা।
রাস পূর্ণিমা প্রধান বৈষ্ণব উৎসব গুলির মধ্যে অন্যতম|শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, কেউ যদি তাঁকে জানতে চায়, তবে তাঁকে অবশ্যই ভক্তির আশ্রয়ে থাকতে হবে। এই দিনে তাই বৈষ্ণব ভক্তরা তাঁদের ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় মেতে ওঠেন রাসলীলায়।পরবর্তীকালে শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণের এই মিলন উৎসবকে শ্রীচৈতন্যদেব নাম-সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে রাস মহোৎসবে পরিণত করেন।
শ্রীবিষ্ণু ও শিব ভক্তরাও এদিন মন্দিরে গিয়ে তাঁদের উপাস্য দেবতার পুজো করে থাকেন। পুণ্য অর্জনের জন্য সকাল সকাল নদীতে স্নান করেন। মন্দিরে বাতি বা প্রদীপ জ্বালান, দুঃস্থদের দান-ধ্যান করেন। দীপাবলির ঠিক পরের পূর্ণিমাতেই এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।এদিন বিষ্ণু ও লক্ষীর একত্রে পুজো করুন, বিগ্রহে বাঁশি নিবেদন করুনা ও একটি ময়ূরের পালক অর্পণ করুন|যাদের গৃহে দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ ও নারায়ণ শীলা স্থাপিত আছে তারা অবশ্যই আজ শাস্ত্র মতে পুজো সম্পন্ন করুন|
শুধুমাত্র ভারতের বিভিন্ন অংশেই নয়, প্রতিবেশি বাংলাদেশেও ঘটা করে রাস উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। মনিপুরের বাসিন্দাদের কাছে রাস একটি প্রধান ধর্মীয় নৃত্য-গীতের উৎসব।
সবাইকে জানাই রাস পূর্ণিমার শুভেচ্ছা|হরেকৃষ্ণ|ভালো থাকুন|নমস্কার|