রাস পূর্ণিমা কেনো পালন করা হয়

267

কার্তিক মাসের পূর্ণিমাই রাস পূর্ণিমা, অর্থাৎ আজ হলো রাস পূর্ণিমা। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, এই দিন বৃন্দাবনের গোপিনী দের উপস্থিতিতে রাধার সঙ্গে রাস উৎসবে মেতেছিলেন গোপশ্রেষ্ঠ শ্রীকৃষ্ণ। গোপিনীদের নাচ ও শ্রীকৃষ্ণের সুমধুর বংশীধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছিল বৃন্দাবনের পবিত্রভূমি।বিশ্বাস, এইদিন স্বয়ং ঈশ্বর মর্ত্যে নেমে আসেন গঙ্গা স্নান করতে। তাই এইদিন আলোর মালায় সেজে ওঠা গঙ্গার ঘাট। স্নানকরে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজার্চনা করেন ভক্তরা।

রাস পূর্ণিমা প্রধান বৈষ্ণব উৎসব গুলির মধ্যে অন্যতম|শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, কেউ যদি তাঁকে জানতে চায়, তবে তাঁকে অবশ্যই ভক্তির আশ্রয়ে থাকতে হবে। এই দিনে তাই বৈষ্ণব ভক্তরা তাঁদের ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় মেতে ওঠেন রাসলীলায়।পরবর্তীকালে শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণের এই মিলন উৎসবকে শ্রীচৈতন্যদেব নাম-সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে রাস মহোৎসবে পরিণত করেন।

শ্রীবিষ্ণু ও শিব ভক্তরাও এদিন মন্দিরে গিয়ে তাঁদের উপাস্য দেবতার পুজো করে থাকেন। পুণ্য অর্জনের জন্য সকাল সকাল নদীতে স্নান করেন। মন্দিরে বাতি বা প্রদীপ জ্বালান, দুঃস্থদের দান-ধ্যান করেন। দীপাবলির ঠিক পরের পূর্ণিমাতেই  এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।এদিন বিষ্ণু ও লক্ষীর একত্রে পুজো করুন, বিগ্রহে বাঁশি নিবেদন করুনা ও একটি ময়ূরের পালক অর্পণ করুন|যাদের গৃহে দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ ও নারায়ণ শীলা স্থাপিত আছে তারা অবশ্যই আজ শাস্ত্র মতে পুজো সম্পন্ন করুন|

শুধুমাত্র ভারতের বিভিন্ন অংশেই নয়, প্রতিবেশি বাংলাদেশেও ঘটা করে রাস উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। মনিপুরের বাসিন্দাদের কাছে রাস একটি প্রধান ধর্মীয় নৃত্য-গীতের উৎসব।
সবাইকে জানাই রাস পূর্ণিমার শুভেচ্ছা|হরেকৃষ্ণ|ভালো থাকুন|নমস্কার|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here