শনির সাড়ে সাতি মানেই যেনো ভয়! যেনো সব শেষ এরম একটা ব্যাপার। কিন্তু সত্যি কি তাই?
এই বিষয় টা জ্যোতিষ শাস্ত্রে নানা মুনির নানা মত। আমি কি মনে করি প্রকৃত জ্যোতিষ শাস্ত্র কি বলছে সেটাই আজ বলবো। শুধু বলবো না ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষণ সহ বলবো।
আগে শনিকে জানতে হবে।অনেকে মনে করেন শনি মানেই অশুভ। সে শুধু খারাপ বা পাপ গ্রহ। বিষয়টা পুরোপুরি তা নয়।শনি আসলে কর্মফলের দেবতা। তিনি আমাদের কৃত কর্মের ফল প্রদান করেন। ধরুন আপনার বহু ভালো কর্ম ফল পাওনা আছে। তা আপনি শনির দশায় বা তার ঢাইয়ায় পাবেন আবার ধরুন খারাপ কর্ম ফল আপনাকে ভুগতে হবে সেটাও আপনি শনির প্রভাবে পাবেন। অর্থাৎ শনি ভালোর জন্য ভালো এবং খারাপের জন্য খারাপ।তাই পাপ গ্রহ বলা যায় না।
শনি আড়াই বছর একটি রাশিতে অবস্থান করে।শনির রাশি পরিবর্তনের ফলে প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে সাড়েসাতি ও ঢাইয়া শুরু হয়। শাস্ত্র মতে সমস্ত রাশির জাতকদেরই তাঁদের জীবনে কমপক্ষে এক বার শনির সাড়েসাতির কবলে পড়তে হয়। এবার প্রশ্ন ভালো হবে না খারাপ হবে।
যদি শনি জন্ম কালীন সময়ে স্বক্ষেত্রী হয়। নিজ নক্ষত্রে থাকে। মিত্র গ্রহের সঙ্গে থাকে। মিত্র নক্ষত্রে থাকে তাহলে। শুভ ফল দেয়।আবার যদি যদি অশুভ অবস্থায় থাকে এই সময় কালে খারাপ
ফল দেয়ার সম্ভবনা থাকে।এর সাথে যোগ হয় কর্মফল।
দেখা যায় অনেকে সাড়েসাতিতে বাড়ি, গাড়ি, বিয়ে করেছে, ভালো উন্নতি করেছে আবার অনেকে সর্বশান্ত ও হয়।তাই শনির সাড়েসাতি মানেই অশুভ নয়। শুভ ও হতে পারে।।
বর্তমানে কুম্ভ রাশিতে উপস্থিত থেকে শনি কুম্ভ, মকর ও মীন রাশিতে সাড়েসাতির প্রভাব ফেলেছে
তাই এই রাশি জাতক জাতিকাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ এখন শনির হাতে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সমস্যা থাকলে সমাধান থাকবে। সঠিক প্রেডিকশন এবং যথাযত প্রতিকার অনেকেটাই সুরাহা দিতে পারে।
এরম আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলির সহজ সরল ব্যাখ্যা প্রয়োজন এবং শুধু সমস্যা নয় সমাধান নিয়ে আলোচনা সম্ভব। তাই আবার কলম ধরবো আগামী পর্বে।ভালো থাকুন।