শ্রী অনিকেত
আজ বহু বছর অতিক্রান্ত হয়েছে তিনি স্বশরীরে আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু তার জন্মদিন আজ জোড়াসাঁকো এবং শান্তি নিকেতনের গন্ডি ছাড়িয়ে সব বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। হবে নাই বা কেনো তিনি বাংলার তথা বিশ্বের সর্ব কালের শেরা প্রতিভাবান দের একজন।
আজও বাঙালির কাছে পঁচিশে বৈশাখ মানে গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজো করার দিন। কারন এই দিনটায় রবি ঠাকুর কে স্মরণ করা হয় তার সৃষ্টির মাধ্যমে।
তার গানে, তার কবিতায় তার নাটকেই তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হয়।
প্রথমে জোড়াসাঁকোয় এবং পরে শান্তি নিকেতনে
বিশ্ব কবির জন্মদিন পালিত হতো তারপর
১৯৩৬ সালের নববর্ষের দিন ঠিক হয়
বর্ষবরণের পর কবির জন্মদিন পালন করা হবে। প্রস্তাব পেয়ে কবি গুরু তা সাদরে গ্রহণ করলেন। এরপর থেকে নববর্ষের দিনই শান্তিনিকেতনে কবির জন্মদিন পালিত হত।
যুবক রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং একবার নিজের জন্মদিন নিয়ে লিখেছিলেন
‘আজ আমার জন্মদিন — পঁচিশে বৈশাখ — পঁচিশ বৎসর পূর্ব্বে এই পঁচিশে বৈশাখে আমি ধরণীকে বাধিত করতে অবতীর্ণ হয়েছিলুম — জীবনে এমন আরও অনেকগুলো পঁচিশে বৈশাখ আসে এই আশীর্ব্বাদ করুন।..’
তার সেই ইচ্ছে অবশ্য পূরণ হয়েছিলো।কারন তারপরেও বহু পঁচিশে বৈশাখ তিনি কাটিয়েছেন।
বেশি ভাগ ক্ষেত্রেই ভাইপো ভাইঝি ভাগ্নে ভাগ্নিরা উৎসাহ নিয়ে কবির জন্মদিন পালন করতো। তাকে নানা রকমের সুন্দর সুন্দর উপহার ও দেয়া হতো।
পরবর্তীতে কবি যখন খ্যাতির মধ্য গগনে তখন পরিবারের বাইরেও তার দেশ বিদেশে থাকা অসংখ্য অনুরাগী এবং শুভাকাঙ্খীরা তার জন্মদিনে অংশ নিতেন। সেই জন্ম দিন পালন এক বিরাট উৎসবের আকার নিতো।আজ কবি নেই। সেই পরিবেশ ও নেই। কিন্তু বাঙালির মননে তিনি আছেন। তিনি ছিলেন এবং থাকবেন।
জন্মদিনে কবি গুরুর চরণে আমার প্রণাম ও শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই। গুরুদেব লহ প্রণাম।ভালো থাকুন। সবাইকে পঁচিশে বৈশাখের শুভেচ্ছা।