জন্মতিথিতে স্বামী বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধার্ঘ্য

87

শ্রী অনিকেত

বরাবরই ইংরেজি মতে জন্মদিন পালনের থেকে তিথি অনুসারে স্বামীজীর জন্মতিথি পালনে আমি বেশি জোর দিই।সেই রীতি বজায় রেখে আজ আমার মতো করে আমি আমার আদর্শ, স্বামী বিবেকানন্দর জন্মতিথি পালন করবো। সেই সাথে স্বামী জি সম্পর্কে দুচার কথা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।

আজকাল স্বামীজি কে নিয়ে মাঝে মাঝেই বিতর্ক বাঁধে, কেউ তার আমিষ খাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন, কেউ আবার তার গো রক্ষা নিয়ে ব্যঙ্গত্মক মন্তব্য নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন।

আমার কাছে স্বামীজী একজন রক্ত মাংসের মানুষে যিনি তার কর্ম কান্ড এবং কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার জন্য দেবত্বে উন্নীত হয়েছিলেন। আধ্যাত্মিক আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়েও তার পা ছিলো মাটিতে। খাদ্য নিয়ে বাছ বিচার বা জীবে প্রেমের ব্যাপারে তিনি ছিলেন সমালোচনার উর্দ্ধে।

শুধু গো মাতা নিয়ে রাজনীতি নয়। তার স্থান অনেক উপরে।প্রতিটি জীব এমন কি মঠে আসা দিশি কুকুরের বাচ্ছাকেও তিনি সমান ভালো বাসতেন, যত্ন করে খাওয়াতেন। তার নাম ও রেখে ছিলেন ” বাঘা ” তাই যারা সব কিছুতেই রাজনীতি খোজেন বা নিজের ধর্ম এবং দর্শনকেই জোর করে সবার উপরে চাপিয়ে দিতে চান তারা স্বমীজীর মতো মহৎ প্রাণ কে বুঝবেন না সেটাই স্বাভাবিক।

তাতে কিছু যায় আসেনা। যত দিন ভারতবর্ষ থাকবে ততদিন স্বামীজী থাকবেন। যত দিন মানুষের মধ্যে বিন্দু মাত্র মানকবিকতা থাকবে ততো দিন তিনি আমাদের মধ্যেই থাকবেন। শিক্ষা দেবেন। যেমন টা ঠাকুর বলতেন ” নরেন শিক্ষা দেবেন ” সংকীর্ণ মানিসিকতা নিয়ে এই চরম সত্য উপলব্ধি করা যাবেনা।

জন্ম তিথিতে প্রণাম নেবেন স্বামীজী।হৃদয়ের অন্তরস্থল থেকে জানাই শ্রদ্ধার্ঘ্য।