সারদা মায়ের জন্মতিথিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য

99


শ্রী অনিকেত


আজ মা সারদার ১৭১ তম জন্ম তিথি|আজ একজন ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও মা সারদার ভক্ত ও অনুরাগী হিসেবে আমার জীবনেরও একটি বিশেষ ও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন|মা সরদার জন্মতিথি উপলক্ষে স্বাভাবিক ভাবেই বিশেষ সাজে সেজে ওঠে বেলুড় মঠ থেকে জয়রামবাটি|আমিও একজন রামকৃষ্ণ – মা সারদা আদর্শে দীক্ষিত
ভক্ত হিসেবে চেষ্টা করি এই দিনটিকে যথা
সম্ভব মর্যাদা দিয়ে পালন করতে।
শ্রীরামকৃষ্ণ লীলাসঙ্গিনী হিসাবে সারদা দেবীর বিশেষ পরিচয় আমরা কমবেশি সকলেই জানি। ঠাকুর বলেছেন, তাঁর সাধনপথে যথাযথ সহযোগিতা করেছেন মা সারদা।তবে শুধু রামকৃষ্ণ পত্নী রূপে নয়। সংঘ জননী রূপে এবং একজন মহিয়সী নারী রূপেও তিনি বিশ্ব বন্দিত।
মা সারদা বলতেন ” যদি শান্তিতে থাকতে চাও কারোর দোষ দেখোনা “প্রকৃত অর্থেই তিনি ছিলেন ব্যাক্তি সমালোচনা ও আত্মকেন্দ্রিক চিন্তার উর্ধে |তিনি রামকৃষ্ণদেবকে সংসারে আবদ্ধ করে রাখতে আসেননি|মা সারদা ছিলেন ঠাকুরের লীলা সঙ্গিনী, আধ্যাত্মিক যাত্রা পথের সহযাত্রী|ঠাকুরকে সাধনভজনের চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে মা সারদা ছিলেন সদা নিবেদিতপ্রাণ।
ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বলতেন, ‘আমি আর কী উপদেশ দেব। ঠাকুরের কথা সব বইয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। তাঁর একটা কথা ধারণা করে যদি চলতে পার, তো সব হয়ে যাবে।’ এমনই ছিলো ঠাকুরের প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ও নিষ্ঠা|তবে এতো কিছুর পরেও নিজের স্বাধীন চিন্তা ধারা এবং কর্মকান্ডে মা সারদা ছিলেন সেযুগের নারী সমাজের আইকন|
আজ এই পুন্য তিথিতে শুভেচ্ছা জানাই প্রত্যেক ভক্তকে।প্রণাম ও শ্রদ্ধা জানাই সঙ্ঘজননী মা সারদা চরণে|জয় ঠাকুর |জয় মা সারদা।