শুভ ভাইফোঁটা

250



ভাইফোঁটা মূলত ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বোনের মঙ্গল প্রার্থনার উৎসব এ আমরা সবাই জানি, এদিন নরকাসুর কে বধ করে ফিরে এসে শ্রীকৃষ্ণ বোন সুভদ্রার হাত থেকে ফোঁটা নিয়েছিলো এমন তথ্য পুরানে পাওয়া যায়|তবে আরো বৃহত্তর আঙ্গিকেও এই উৎসবকে দেখা যেতে পারে|


ভাতৃদ্বিতীয়ায় এই যে চন্দনের ফোঁটা দেওয়া, সে আদতে সূর্যের রূপক। অবাঙালিরা যে রোলির তিলক আঁকেন, তার লাল রঙেও নিহিত রয়েছে সূর্যের তেজ। ধান-দূর্বা বা চালের অনুষঙ্গেও ফিরে আসছে সূর্যের দেওয়া জীবনের আশ্বাস।বিজ্ঞান বলছে, সূর্যকিরণে পরিপুষ্ট হয় শস্য, সেই শস্যে জীবনধারণ করে মানুষ। এভাবেই যম বা মৃত্যুকে ঠেকিয়ে রাখা হয়, আর সেই প্রতিরোধ কে চিহ্নিত করে এই উৎসব, কেন না, যে ঋতুতে এই উৎসব, সেই হেমন্তের পরেই আসবে প্রবল শীত। তখন তাপমাত্রা কম্পাঙ্কের নিচে নামবে, শৈত্যে মৃত্যু হবে কিছু মানুষের। সেই শৈত্য থেকে এভাবেই প্রিয়জনকে দূরে রাখার প্রার্থনার কৌশল এই ভাই ফোঁটা|


বিজ্ঞান বা শাস্ত্র যাই বলুক পুরানে যাই থাক, উৎসব প্ৰিয় বাঙালির কাছে এই ভাইফোঁটা এক সুন্দর পারিবারিক মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে যেখানে খাওয়ার দাওয়া, আড্ডা, শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে অতিবাহিত হয় এই দিনটি|সব বোনেদের ও তাদের স্নেহের ভাইদের জানাই ভাইফোঁটার অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|ভালো থাকুন|নমস্কার|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here