শ্রী অনিকেত
চলছে জগদ্ধাত্রী পুজো।শাস্ত্র মতে দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো করলে অহংকার চলে যায়, আধ্যাত্মিক শাম্তি লাভ করা যায় এবং শত্রুতাকে পরাস্ত করে সুখ ও ঐশ্বর্য লাভ করা যায়
দেবী জগদ্ধাত্রী আসলে কোনও আলাদা দেবী নন, ইনি পরম ব্রহ্মের জাগতিক রূপমাত্র।
যখন মহিষাসুরকে দেবী দুর্গা বধ করার পর দেবতারা শান্তি পেয়ে ভেবেছিলেন এবার আর তাঁদের কোনও সমস্যা রইল না। অহংকার বসত তারা ভাবলেন তাঁরাই দণ্ডমুণ্ডের কর্তা, তাঁরা ছাড়া আর কারও কোনও শক্তিই নেই তখন ব্রম্হা সৃষ্টি করেন করিন্দ্রাসুরকে যে আসলে অহংকার ও দম্ভের প্রতিক|দেবী জগদ্ধাত্রী করিন্দ্রাসুরকে যুদ্ধে বধ করেন।
জগদ্ধাত্রী দেবীর চার হাত, চার হাতে আছে শঙ্খ, চক্র, তির-ধনুক। দেবী বধ করছেন হস্তীরূপী করিন্দ্রাসুরকে।যা আগেই বলেছি দেবীকে নিয়ে একটিই মাত্র শ্লোকের উল্লেখ পাওয়া যায়, শ্রী ললিতা সহস্রনাম-এর ১৭৩ তম শ্লোকে যেখানে দেবী ত্রিপুরাসুন্দরীকেই জগদ্ধাত্রী রূপে বর্ণনা করা হয়েছে।
শাস্ত্র মতে জগদ্ধাত্রী পূজোর দিন গৃহে শঙ্খ বাজিয়ে ও পঞ্চ প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীকে আহ্বান জানান|মনে মনে তাকে নিজের মনোস্কামনা জানান|দেবী আপনাদের মনোস্কামনা নিশ্চই
পূর্ন করবেন|সবাইকে জগদ্ধাত্রী পূজোর শুভেচ্ছা ভালো থাকুন|জয় মা জগদ্ধাত্রী|