জ্যোতিষী শ্রী অনিকেত
আজ কোজাগরী লক্ষী পুজো|যুগ যুগ ধরে প্রচলিত বিশ্বাস মতে ওই দিন নিষ্ঠা সহকারে লক্ষী পুজো করলে ও রাত্রি জাগরণ করলে সৌভাগ্য লাভ হয় এবং মা লক্ষীর কৃপায় জীবনের সব দুক্ষ ও কষ্ট দূর হয়|এর কারন হলো দেবী লক্ষী মূলত ধন ও সৌভাগ্যের দেবী|তবে শুধু তাই নয় আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে দেবী লক্ষীর গুরুত্ব আরো বেশি|
পুরান অনুসারে সমুদ্র মন্থন থেকে লক্ষী দেবীর জন্ম|চন্ডিতেও দেবী লক্ষীর উল্লেখ আছে|আবার তিনি স্বয়ং বিষ্ণুর স্ত্রী|শ্রী বিষ্ণুর বিশ্বরূপ দর্শন করার পর লক্ষীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়েছিলো|আবার মহর্ষি ভৃগুকে লক্ষীর জনক হিসেবে দেখা হয়|এতো গেলো পৌরাণিক ব্যাখ্যা লৌকিক দেবী হিসেবে তিনি বাংলার প্রতিটি ঘরে পূজিতা হন তার ব্রত কথা পড়া হয় সর্বত্র|
দেবীর আটটি ভিন্ন রূপ আছে যা একত্রে অষ্ট লক্ষী নামে পরিচিত|এগুলি হলো,১. আদি লক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মী— তিনি বিষ্ণুপ্রিয়া। বিষ্ণুর সঙ্গেই তিনি চিত্রিত হন।২. ধনলক্ষ্মী বা ঐশ্বর্য্যলক্ষ্মী— সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী।৩. ধান্যলক্ষ্মী— শস্যের দেবী।
৪. গজলক্ষ্মী— গজ বা হাতির সঙ্গে তাঁকে কল্পনা করা হয়। ব্যক্তির শ্রীবৃদ্ধি ঘটে তাঁর কল্যাণে।
৫. সন্তানলক্ষ্মী— সন্তানভাগ্য নিরূপণ করেন এই দেবীরূপ।৬. বীরলক্ষ্মী— সাহসদাত্রী দেবী।৭. বিদ্যালক্ষ্মী— জ্ঞানের দেবী।৮. বিজয়লক্ষ্মী বা জয়লক্ষ্মী— ইনি বিজয়ের অধিষ্ঠাত্রী|অর্থ্যাৎ এই প্রতিটি রূপের নিজস্ব ব্যাখ্যা ও পুজোর উদ্দেশ্য রয়েছে|
মানুষের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি এই তিনটি বিষয় মা লক্ষীর কৃপা ছাড়া সম্ভব নয়|জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে ভাগ্য বিচার বা প্রতিকার ধারণের ক্ষেত্রে এই সময় কে তাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলা যায়।
আজ ঘরে ঘরে মা লক্ষী বিরাজ করবেন। তার কাছে প্রার্থনা করুন। সব দুঃখ দুর হবে।
ভালো থাকুন সবাই সবাইকে জানাই লক্ষী
পুজোর অনেক শুভেচ্ছা।